বঙ্গ বিজেপি-র প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘মঙ্গলবার গ্রামে সিপিআইএমের প্রতিনিধি দল এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী যাওয়ার পর পুলিশ যেভাবে বাধা দিয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রশাসনে সম্পূর্ণ রাজনীতিকরণ হয়ে যাওয়ার কারণেই বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে প্রতি পদে পদে।’’ সিপিআইএমকে খোঁচা দিয়ে বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এও বলেন, ‘‘সিপিআইএমের নিচুতলার কর্মীদের বলব, আপনারা শাসক দলের হাতে আক্রমণের শিকার হবেন আর আপনাদের ওপর তলার নেতারা দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ফিশফ্রাই খাবেন। বগটুই হোক বা জয়নগর, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি যে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখে গ্রামের পর গ্রাম দখল নেওয়া। আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাকে সম্পূর্ণ মুক্তাঞ্চল বানানোর পরিকল্পনা তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের। বিরোধীরা সামান্য প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখালেই সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে নিয়ে আক্রমণ চালাবে, এটাই এখন শাসক দলের মডেল।’’
advertisement
এদিকে সোমবারের রণক্ষেত্রের পরিস্থিতির পর মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর। এদিন গ্রামে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সিপিএম নেতারা। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশি বাধায় তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। পুলিশের দাবি, ‘‘ঘরছাড়াদের গ্রামে ফেরত নিয়ে আসা হলেও অন্য এলাকার লোকেদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ এদিন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বাম নেতাদের। পরে ওই গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকেও পুলিশের তরফে আটকানো হলে পুলিশের সঙ্গে তাঁর তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন নওশাদ সিদ্দিকি।
আরও পড়ুন : কুণালের লেখা গল্প নিয়ে এবার ওয়েব সিরিজ, অভিনয় করবেন সোহিনী
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোররাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সইফউদ্দিন লস্করকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই এই ঘটনায় কার্যত বগটুইয়ের ছায়া দেখতে পাওয়া যায়। রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাঁকি গ্রাম। একের পর এক বাড়িত আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আতঙ্কে গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাই এখন এলাকা ছাড়া।