বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘এই রায় প্রত্যাশিত ছিল। তৃণমূল সরকার একটা অমানবিক মুখ নিয়ে অসহিষ্ণু ও স্বৈরাচারী অবস্থান থেকে আজকে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আদালত রায় দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু তা না করে তারা পরিকল্পনা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল যাতে ডিএ মামলাটি আইনের প্রক্রিয়ার মধ্যে জড়িয়ে রেখে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া থেকে বঞ্চিত রাখা যায়।’’
advertisement
শমীক ভট্টাচার্যের কথার রেস ধরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে খেলা-মেলা করে এখন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিয়ে শিক্ষকদের চাকরি বাজারে আলু- পটলের মত বিক্রি করেছে এই সরকার। সেই দুর্নীতি আজ প্রমাণিত। আমরা মনে করি রাজ্য সরকার যদি এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সেখানেও এই একই রায় বহাল থাকবে।’’
আরও পড়ুন-ডিএ মামলায় ফের হার রাজ্যের, ১১ লক্ষ সরকারি কর্মীর জন্য সুখবর! আবেদন খারিজ সরকারের
এদিকে ডিএ মামলায় ফের হার রাজ্যের। রাজ্যের পুনর্বিবেচনা আবেদন খারিজ। অর্থ সচিবের আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ মে ২০২২-এর রায় পুনর্বিবেচনা আবেদন খারিজ করল বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে বারবার মামলা গড়ায় আদালতে। সেই মামলার সূত্রে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারও জানিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা কর্মীদের অধিকার এবং তা ন্যয়সঙ্গত। এ বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতেই হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার গেলেও ডিএ দেয়নি রাজ্য। ফলে এ বিষয়ে হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। শেষমেশ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।