শুক্রবার সন্ধে নাগাদ শুভেন্দুর নিজাম প্যালেসের কার্যালয়ে যান খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ। বেশ খানিকক্ষণ বৈঠক হয় দুই নেতার মধ্যে। বৈঠক শেষে তাঁরা একসঙ্গে ছবিও তোলেন। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, হিরণ তাঁকে জানিয়েছেন, ফুলবদলের কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। তিনি পদ্মশিবিরেই রয়েছেন।
সম্প্রতি খড়্গপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণের একটি ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অজিত মাইতির পাশে বসে রয়েছেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক। আর তাঁদের মাঝখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রতীক। আর এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয় তীব্র জল্পনা। তবে কি ফের তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি' হচ্ছে হিরণের?
advertisement
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১০ তারিখ বিশেষ সূত্র মারফত খবর চাউড় হয়েছিল, বিজেপির দুই বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন৷ যদিও তাঁরা কারা, সে বিষয়ে উচ্চবাচ্য করেননি তৃণমূলের কোনও নেতা।
অভিনেতা থেকে নেতা হয়ে ওঠা হিরণের রাজনীতিতে হাতখড়ি কিন্তু তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরেই। দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ছিলেন হিরণ। তবে একুশের নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই ফুলবদল করতে দেখা যায় তাঁকে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে খড়্গপুরের টিকিট দেয় বিজেপি। ভোটে জয়ীও হন হিরণ।
সম্প্রতি অজিত মাইতির পাশে বসা ছবি ভাইরাল হওয়ায় খানিকটা হলে বিপাকে পড়েন হিরণ। এ নিয়ে তরজাও কম হয়নি বিজেপি তৃণমূলে। কুণাল ঘোষ, অজিত মাইতিরা দাবি করেন, ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন হিরণ। অন্যদিকে, বিজেপির দিলীপ ঘোষ পাল্টা কটাক্ষ করে জানান, এত প্রশ্নের কী আছে? হিরণকে তো নিয়েই নিতে পারে তৃণমূল।
যদিও গোটা বিষয় নিয়ে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইট ছাড়া সরাসরি কিছুই বলেননি হিরণ। পরে, হিরণের অনুগামীদের তরফে আরও একটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, এটিই হচ্ছে আসল ছবি। তৃণমূল কারসাজি করে অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণের ছবি তৈরি করে, তা ভাইরাল করেছে এবং তাঁদের নেতার বদনাম করার চেষ্টা করছে।
এই ছবি-তরজা যখন চলছে, হিরণ তখন ছিলেন রাজ্যের বাইরে। কলকাতায় ফিরেই শুক্রবার তিনি পৌঁছে গেলেন শুভেন্দুর কাছে।