ক্যামাক স্ট্রিট থেকে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট। শরৎ বোস রোড থেকে ভবানীপুরের অলি-গলি। নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা দিদি। গেরুয়া ব্যাকড্রপের পোস্টার ভবানীপুর বিধানসভার আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ালেই নজরে পড়বে সকলের৷ আর এহেন 'দিদি'র লড়াইকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা।
আরও পড়ুন-আমূল বদল! দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ মেট্রো পথে এবার প্রযুক্তি কোচ, কী সুবিধা বিশদে জানুন
advertisement
রাজনৈতিক মহলের মতে, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee ) বিরুদ্ধে লড়াই যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির কাছেই বেশ কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে যখন সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রায় ২৮ হাজার ভোটে জয় লাভ করেন। আর যে ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লড়াই করছেন সেখানে লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই ঘরের মেয়ের ইমেজের সাথে লড়াই করতে নেমে 'দিদি' শব্দেই জোর দিচ্ছে বিজেপি। ভবানীপুরের দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। দেওয়াল লিখন হোক বা পোস্টার বা ফ্লেক্স সবেতেই উল্লেখ আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সেখানে উল্লেখ আছে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা দিদি হিসাবে নাম। আর এই নয়া পোস্টার ঘিরেই চলছে রাজনৈতিক আলোচনা।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "হুম, পোস্টার তো নজরে এসেছে। মজার ব্যাপার এটা। উনি ওনার দলের কর্মীদেরকে বলেছেন ওরে ভাই আমার পদবি লিখিস না। তাই প্রিয়াঙ্কার পাশে টিব্রেওয়াল লেখা যাচ্ছে না। পদবীই উনি ছেড়ে দিলেন। আসলে লোক হাসাচ্ছেন উনি। গো-হারা হারবেন তো তাই এমন সব প্রচার করছেন।"
বিজেপির কর্মীরা অবশ্য বলছেন, দিদি নিয়ে এত আপত্তির কি আছে? উনি তো আমাদের দিদি'ই। আর ভোটে দাঁড়ানো আর না দাঁড়ানোর সাথে দিদি বলা বা লেখার কোনও সম্পর্ক নেই।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছেন, বাংলা সংস্কৃতিতে ছেলেদের দাদা আর মেয়েদের দিদি বলা হয়। এটাও সেরকমই একটা ব্যাপার। কুণাল ঘোষ অবশ্য বলছেন, 'চিঠির পাশাপাশি ছিঁড়ে ফেলছেন পদবীও। এ কেমন প্রার্থী?'