শিলিগুড়ির বিধায়ক পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটককে জানিয়েছেন এলাকায় ড্রেন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ফলে জল জমছে। এই বিষয়ে যথাযত উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। শুধু এখানেই শেষ নয় উত্তরবঙ্গের প্রায় সব বিধায়কের মুখে অতি বৃষ্টির জন্য সেখানকার মানুষের সমস্যার কথাই উঠে এসেছে। এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বে কোনও বিধায়ক জানিয়েছেন ভুটান পাহাড় থেকে জল এসে প্লাবিত করে দেওয়ার কথা। কেউ বলেছেন উত্তরবঙ্গে ৭২টি নদী আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গদাধর নদীর। সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। সেইসব এলাকায় দ্রুত ত্রান পাঠানোর ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, আগে বাজ পড়লে এসএমএস-এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হত।
advertisement
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রকল্পটি নিয়ে সরকার কী ভাবছে? ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার প্রশ্ন। এ দিন তিনি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, "উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে আলিপুরদুয়ারে এ বার অনেক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রচুর মানুষের টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে দফতরের তরফে পাঁচ হাজার ত্রিপল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।" জাভেদ খানের আশ্বাস মিললেও মোটের উপর উত্তরবঙ্গে 'অতিবর্ষা'র ফলে সেখানকার মানুষ যে দুর্দশার মধ্যে রয়েছে সেটা স্পষ্ট।
মনোজ টিগ্গা জানান, "বৃষ্টি অনেক হয়েছে এবার। শিলাবৃষ্টিও তুলনামূলকভাবে বেশিই হয়েছে। সেখানকার বাড়িগুলোর মধ্যে প্রচুর বাড়ি রয়েছে যেগুলোর ছাদটা মূলত টিন দিয়ে তৈরি। আর শিলাবৃষ্টি হলে টিনের চালের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফুটো হয়ে যায়। আর এটা চট করে সারানোও যায় না। তাই আপাতত সেই মানুষগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রীকে ত্রিপলের ব্যবস্থা করতে বলেছি।"
UJJAL ROY