কী করলেন লকেট? রাজ্য বিজেপি-তে বর্তমানে বিক্ষুব্ধ বলে পরিচিত জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসুদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন লকেট। এই বৈঠকের কী কারণ, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি কেউই। যদিও এই বৈঠকের কথা শুনেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ''একমাত্র বিজেপি'ই এমন দল, যেখানে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। দলের অন্দরের কথা বাইরে বলে লাভ নেই। দলের মধ্যেই বলতে হবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের বাইকে বসে 'বিপদে', গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হতেই আদালতে লকেট!
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। সেই সময় গেরুয়া শিবির স্লোগান তুলেছিল, 'ইস বার, দোশো পার'। যদিও সেই স্বপ্ন দিনের আলো দেখেনি। ক্ষমতা দখল না হলেও বাংলায় বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে এক এবং একমাত্র উঠে এসেছিল নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের বিজেপি। এমনকী বাম ও কংগ্রেস শূন্য হয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। তাই পুরভোটে লড়াইটা হওয়ার কথা ছিল শাসক তৃণমূল বনাম বিরোধী বিজেপির মধ্যে। কিন্তু বিজেপি কার্যত উড়ে গিয়েছে পুরভোটে। আর ফের বিজেপি-কে সরিয়ে বিরোধী পরিসর ছিনিয়ে নিচ্ছে বামেরা।
আরও পড়ুন: আর ১০-১৫ সেকেন্ড দেরি হলেই ঘটত বিরাট দুর্ঘটনা! বিমান-বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
গেরুয়া শিবিরের এই ব্যর্থতার নেপথ্যে যেমন উঠে আসছে নেতৃত্বের অপরাগতা, তেমনি দলের অন্দরে ফাটলও। এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের ফলপ্রকাশের পরই হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) একটি ছোট্ট ট্যুইট করে ‘আত্মসমীক্ষা’ শব্দটি লেখেন। এরপর সংবাদমাধ্যমে দলের 'বিরুদ্ধে' মুখ খোলেন তিনি। দলের চিন্তন বৈঠকেও সেই মেজাজেই ছিলেন লকেট। তাঁকে পাল্টা 'আক্রমণে' নামেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা। এই পরিস্থিতিতে জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসুদের সঙ্গে লকেটের বৈঠক নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।