বুধবার এক মহিলা ফোন করে গ্যাস মেরামতি করতে ডাকেন শিলিগুড়ির বিধায়ক কে। ঘটনাচক্রে সেই গ্যাস মিস্ত্রির নামও শঙ্কর। শঙ্কর ঘোষ উত্তর দেন যে তিনি গ্যাস মিস্ত্রি নন। মহিলা দ্বিতীয়বার শঙ্কর নাম জিজ্ঞেস করেন নিশ্চিত হতে চাইলেন। বিধায়ক ফোনের ওপারে থাকা শ্রোতাকে বোঝাতে ব্যাস্ত যে তাঁর নামও শঙ্কর কিন্তু তিনি গ্যাস মিস্ত্রি নন। শেষবারের চেষ্টায় বোঝাতে সক্ষম হন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ভরা বিধানসভা, সকলকে চমকে দিয়ে এ কী করলেন বাবুল সুপ্রিয়! অনুরোধ খোদ স্পিকারের
তিনি মহিলাকে জানান, “আমি শঙ্কর বলছি। কিন্তু আমি গ্যাস মিস্ত্রি নই আমি জেনারেটর মিস্ত্রি।” তারপর দুই পক্ষই ফোন রেখে দেন। কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা হালকা হলো। পরে তিনি বলেন, “আমার ফোনে এরকম একটা ফোন এসেছিল। আসলে আমার ফোন সাধারন মানুষের জন্য সব সময়ই খোলা থাকে। আমার নম্বরে যত ফোনই আসুক না কেনও আমি সব ফোনই ধরে থাকি। এটা নয় যে শুধুমাত্র চেনা নম্বরে ফোন এলেই কথা বলবো। অচেনা বহু নম্বর থেকে ফোন আসে আমি সেগুলোও ধরি। তেমনই একজন বর্ষিয়ান দিদি গ্যাসের মিস্ত্রি খুঁজছিলেন। যার নাম শঙ্কর। শঙ্কর নামটা এরকমই যে সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। সব জায়গাতে সব পেশাতে কোন না কোন শঙ্কর আছে। এক শঙ্কর হয়ত পেশায় গ্যাসের মিস্ত্রি। আরেক শঙ্কর সৌভাগ্যবশত মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে বিধায়ক। এক শঙ্করকে ফোন করতে গিয়ে আর এক শঙ্করকে ফোন করে ফেলেছেন দিদি। আমি তাঁকে বলেছি আমি গ্যাসের মিস্ত্রি নই। একবার মনে মনে ভাবছিলাম যে পরিমাণ গ্যাস দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকার রাখে সেরকম কথা বলব কিনা। তারপর ভাবলাম বর্ষীয়ান মানুষ। পরে তাঁকে বললাম, আমি শঙ্কর কিন্তু আমি গ্যাসের মিস্ত্রি নই আমি জেনারেটরের মিস্ত্রি।”
আরও পড়ুন: সামনে শুভেন্দু, বুধের পর বৃহস্পতিতেও এককাট্টা বিজেপি! ‘ঝড়ের’ অপেক্ষায় বিধায়করা
বিধায়কের সংযোজন, ”তখন তিনি বললেন ঠিক আছে। আমি তাহলে অন্য নম্বরে ফোন করে নিচ্ছি। ভালোই লাগলো এটুকুই। সারাদিন অসংখ্য ফোন আসে। বহু মানুষের সাথে কথা বলতে হয়। তারমধ্যে কাজের ফোনের পাশাপাশি এরকম ফোনও আসে। তবে আমি চেষ্টা করি, প্রত্যেকের সঙ্গে সৌজন্যতা বজায় রেখে কথা বলার। কারণ উল্টোদিকের মানুষটা হয়তো ভুল করে বা না বুঝেই ফোন করে ফেলেছেন।”