বিজেপির অন্তত ৪ জন সাংসদ তৃণমূলে আসার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। একঝাঁক বিধায়কও তৈরি রয়েছেন দল বদলাতে। কিছুদিন আগেই কুণাল ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিস্তর চাপানউতোর। এরই মধ্যে কুমারগ্রামের বিধায়কের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কুণাল ঘোষ ফের বলেন, ২০২১ সালে বলেছিল আব কি বার ২০০ পার। যদিও বিজেপি থেমে গিয়েছিল মাত্র ৭৭ আসনে। ২০২৪ সালেও বলেছিল ৩০ এর বেশি আসন পাবে। দেখা গেল আসন সংখ্যা ১৮ থেকে কমে ১২ হয়ে গেছে। বিধানসভা ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে ততই ওরা ৬০ থেকে ৫০ হয়ে ৪০ হয়ে যাবে। এর উপাদান সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। বিজেপি বিধায়কদের দলের মধ্যেই অসন্তোষ, বিরক্তি দেখা যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যেই তাদের দূরত্ব বাড়ছে। এরা অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন।”
advertisement
এখন দেখার তৃণমূল কতজনকে দলে নেয়। যদিও উত্তরের বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তো গোটা জল্পনাই ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর আবার দাবি, তৃণমূল থেকেই তাঁদের বিধায়করা দল বদল করতে মুখিয়ে রয়েছেন। বিদ্রোহী’ মনোজ লিখেছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ বাংলায় পরিবর্তন আনতে জান-প্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছেন। কয়েকজন নেতা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সাধারণ কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত করে ও তাঁদের পছন্দের বিরুদ্ধে (গিয়ে) চাটুকারিতাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।’’
মনোজ ওই পোস্টেই লিখেছেন যে, তিনি দলের কোনও দায়িত্বে থাকতে চান না। তাঁর কথায়, ‘‘এই পরিবেশে দলের কোনও পদে থাকতে পারছি না। তাই সব দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে বিজেপিতে থাকব।’’ নজরে পড়ার মতো বিষয় হল, শুভেন্দু, দিলীপের প্রশংসা করছেন মনোজ কিন্তু সেই তালিকায় দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম নেই। বিধানসভার অভ্যন্তরে বিজেপি বিধায়ক মনোজের পারফরম্যান্স অত্যন্ত ভালো বলেই অনেকে মনে করেন। নিজের এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় তার বক্তব্য প্রশংসিত হয়। এই অবস্থায় মনোজের অভিমান নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।