শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এমনই চিত্র দেখা গেল বিধানসভা চত্বরে। এ দিন বিজেপির কার্শিয়াং বিধানসভা এলাকার বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বি আর আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে অবস্থান শুরু করেন। একই সঙ্গে কার্যত নিজের দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলেন।
তিনি বলেন, “পাহাড়ের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জিতিয়েছেন। পর পর তিনবার। গতবার তো বিজেপি জিতেছে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে। কিন্তু তাতে পাহাড়ের মানুষের কী লাভ হল? বিজেপি প্রতিবারই প্রতিশ্রুতি দেয়। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে পাহাড়ের জনজাতিদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে। তা পূরণ করার কথাও বলে। কিন্তু ভোট মিটে গেলে যেই কে সেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল যা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের আগে তা বিজেপির জন্য চিন্তার কারণ হতে চলেছে। তবে আমি এখনও দলের সঙ্গেই আছি। তবে পাহাড়ের মানুষ চাইছে এবার লোকসভা ভোটের আগে আর প্রতিশ্রুতি নয়। কাজ করে দেখাক দল।”
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিজয়োৎসবে হঠাৎ আমন্ত্রণ! জবাব দিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ
বিধায়কের এই কাণ্ড দেখে শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়। অস্বস্তিতে পড়ে যান বিজেপি-র অন্যান্য বিধায়করাও৷ যদিও তাঁর এই আন্দোলন কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বলেও এ দিন জানিয়েছেন তিনি।
তবে শুক্রবার প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে আবার পরিষদীয় দলের সঙ্গেই বিধানসভায় বাকি কাজ করেন বিষ্ণুপ্রসাদ। এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, “এখানে প্রত্যেকের কথা বলার স্বাধীনতা আছে। উনি নিজের এলাকার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।”
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। অমিত শাহ রাজ্যে এসে এখান থেকে অন্তত ৩৫টি আসন জেতার লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে সংগঠন বেঁধে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। ২৪-এর ভোটে উত্তরবঙ্গ বড় ভরসা বিজেপির। কিন্তু তারই মধ্যে পাহাড়ের বিধায়কের দাবি বিজেপি নেতৃত্বকে দুশ্চিন্তায় ফেলবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ৷
