চিঠির ছত্রে-ছত্রে আক্রমণ করা হয়েছে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে। ১৯৮০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দলের কাজে যারা প্রাণপাত করেছেন তাদের দলে গুরুত্ব নেই।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা দলে এসেছেন অন্য দল (তৃণমূল কংগ্রেস) থেকে তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আসন দেওয়া হয়েছে। ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন দলের আদি কর্মীরা। ফলস্বরূপ দুর্গাপুর, পূর্ব, বিধাননগর, পানিহাটি, ব্যারাকপুর, সিঙ্গুর, সিউড়ি, জলপাইগুড়ি, সপ্তগ্রাম, কালনা, ভবানীপুরের মতো আসন হারতে হয়েছে। এর পরেও দল নিজেকে শোধরায়নি। যার ফলে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে দলের ফল নিয়ে চিন্তায়।
advertisement
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি কলকাতায় আরএসএস-বঙ্গ বিজেপি বৈঠক
দুর্নীতি ইস্যুতে প্রতিদিন বিপাকে পড়ছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে এর বিরোধিতা করে সেই লড়াইয়ে নেই ৷ সাম্প্রতিক কালে বামেদের যুব সংগঠন ৩৫ হাজার যুবদের নিয়ে একটা প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে। যার জন্য একটাও ট্রেন বা গাড়ি ভাড়া করতে হয়নি।
দল ভীষণরকম ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। দলের কিছু নেতা ইউটিউবার ও ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা ভাবনা প্রচার করছে ৷ এতে আসলে ক্ষতি হচ্ছে দলের। আর এর ফলে আগামী দিনে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মধ্যে।
আরও পড়ুন- ট্যুইটারের সম্পূর্ণ দায়িত্বে এলন মাস্ক, বিতাড়িত সিইও এবং সিএফও
বর্তমানে দলে নতুনরা জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পাচ্ছে। আমি কোনও নবাগতের বিরুদ্ধে নই ৷ কিন্তু তাদের দায়িত্ব নিতে এবং কাজ শেখার সময় দিতে হবে৷ যদিও নতুনদের সংখ্যাই এখন সবচেয়ে বেশি। কিছু সিনিয়র নেতা, বিরোধী দলনেতা ও সাংসদ আছেন। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের যে ভাষায় আক্রমণ করে চলেছেন তা যথাযথ নয়৷ নিজেদের কথা না বলে, তারা দলের আদর্শকে মাথায় রেখে জাতীয় স্বার্থের কথা তুলে ধরুক। একমাত্র কোর ন্যাশনাল ইস্যু আমাদের সঠিক পথে ফেরাতে পারে।
এটা অনেকের মধ্যেই ধারণা তৈরি হয়েছে, সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে অনেকে দলে আসছেন। এখন মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়ে গেছে, রাজ্য বিজেপির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে। এটা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের দল হয়ে গিয়েছে। আমরা ফের বিকল্প হয়ে উঠতে পারি যদি ২০১৯ সালের পলিসি ফিরিয়ে আনা হয়।