পাখির চোখ ২০১৯ ৷ জনতার মন জিততে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ ৷ গেরুয়া ঝড় তুলতে হাইকম্যান্ডের নজর এখন বাংলায় ৷ সেই লক্ষ্যেই আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার ১১ অগাস্টই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ ৷ কলকাতার মেয়ো রোডে সভায় যোগ দেবেন তিনি ৷ সেই সভার ঘিরে সাজ সাজ রব গেরুয়া শিবিরে ৷ তারই মাঝে জোড়াফুল শিবির থেকে উঠল ধিক্কার দিবসের হুঙ্কার ৷ তৃণমূল ভবন থেকে শুক্রবার এনআরসি-এর বিরোধিতায় এই কর্মসূচির ডাক দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
advertisement
এরই পাল্টা হুঁশিয়ারি শোনা গেল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় ৷ সোজাসাপ্টা ভাষায় জানিয়ে দিলেন, আগামিকাল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিজেপির সমর্থকদের সভায় যোগ দিতে বাধা দিলে বাঁধবে সংঘর্ষ ৷ একইসঙ্গে সে সংঘর্ষের দায় বিজেপি নেবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন
অমিত শাহের সভার দিনে NRC বিরোধিতায় তৃণমূলের ধিক্কার দিবস
বিজেপি সভাপতির সভা, অথচ মেয়ো রোডে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের পোস্টার ও ফ্লেক্স। সেই নিয়ে তৃণমূলের রাজনৈতিক সৌজন্যতা বোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ ৷ বলেন, ‘আমাদের সভাস্থলে তৃণমূলের পোস্টার, ব্যানার লেগেছে এটা কি রাজনৈতিক সৌজন্যের নমুনা?’
আরও পড়ুন
নতুন ফোন লঞ্চ করল স্যামসাং, জানেন কী অসাধারণ ফিচার্স রয়েছে এই ফোনে
বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপিকে আটকাতেই সুচিন্তিত পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের শাসক দল ৷ বিজেপির কর্মসূচিতে সমস্যার লক্ষ্যেই একইদিনে ধিক্কার দিবসের ডাক ৷ একইসঙ্গে শনিবার শহরের বিশাল অংশ অচল হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি ৷
সবমিলিয়ে শনিবার মেয়ো রোড থেকেই রাজ্যে কার্যত শুরু লোকসভার লড়াই। সেই লড়াই ঘিরে গেরুয়া-জোড়াফুল শিবিরের ঘোষণা ও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷