শেষমেশ তা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh on Bengal By Polls)। বললেন, 'আমাদের দল সব সময়ই ভোটের জন্য তৈরি। পুর নির্বাচনের জন্যও আমার ২ বছর ধরে তৈরি রয়েছে। কমিশন বললেই ভোট হবে। আর কমিশনের নির্দেশই সবাইকে মানতে হবে।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'পুর পরিষেবা বন্ধ হয়ে আছে। মানুষ বেসিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল কিরে তৃণমূল বসে।'
advertisement
এরই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখনও ভূমিকা জানায়নি। নির্বাচন কমিশন সারা দেশে সঠিকভাবে কাজ করছে। লোকসভা নির্বাচন করেছে সারা দেশে। এই দেশে রাজ্যে এসে গণতন্ত্র ভূলন্ঠিত হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোথায়? তাদের ভূমিকা কই?'
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন সূত্রে বড় খবর, পুজোয় আগেই বাংলায় ভোটের বাদ্যি?
এদিন বিশ্বভারতী প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, 'বামপন্থীদের কাজই বিশৃঙ্খলা করা। কয়েক জায়গায় কটা কলেজে আছে। রাজ্য সরকার এর মদত দিচ্ছে। এটা ঠিক নয়। আদালত রায় দিয়েছে। এটা সবাইকে মানতে হবে। সেই ঠিক আছে। আলোচনা হোক। কিন্তু এটা আন্দোলনের পথ হতে পারে না। কে কী খাবে সেটা পড়ুয়ারা ঠিক করে দেবে? উপাচার্য ডাক্তার দেখাতে পারবেন না? মানুষ? রাজ্য সরকার এদেরকে মদত দিচ্ছে? জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। যার থেকে ভয় তাকে পুলিশ আটকাচ্ছে। আর যে বিলুপ্তপ্রায় তাকে পুলিশ ঘিরে নিরাপত্তা দিচ্ছে। সংরক্ষণের নীতি। বিজেপিকে ভয় পায়, রাস্তায় নামলেই আটক করা হয়। আর বামেদের বেলায় যত পারো আন্দোলন করো।'
এদিন ত্রিপুয়ার তৃণমূলের যুব নেতাদের উপর হামলা নিয়েও কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, 'ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর সেভাবে কোনও হামলা হয়নি। এখানে বিরোধীদের মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওখানে আওয়াজ দিলে ওরা হামলা বলবে? এ কী রকম হবে? অন্যদলের বাতিল খেলোয়াড় নিয়ে ত্রিপুরায় টিম তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। উনি ত্রিপুরায় গণতন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন না, গণতন্ত্র দেখতে আফগানিস্তান যেতে বলুন। ব্রাত্য আর দুজনকে পাঠান। ঘুরে আসুন।'