এখানেই শেষ নয়, মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে মামলা করারও ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে বিজেপির আইনজীবী সেলের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর পর দু'রাউন্ড গুলি, বুকে হাত দিয়ে গাড়িতে লুটিয়ে পড়লেন মন্ত্রী, প্রকাশ্যে ভিডিও
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কে? মুখ্যসচিবের নির্দেশে কীভাবে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন এই প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করল?" অতীতে এই ধরনের বৈঠকের কোনও নজির নেই বলে দাবি শমীক ভট্টাচার্যের।
advertisement
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবিবার শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "তৃণমূল নেতারা এখন সরকার চালাচ্ছে। যা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক। মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের দলের আইনজীবী সেলের সঙ্গে পরামর্শ করছি।" আগামী দিনে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে দলের তরফে মামলা করার ইঙ্গিতও দেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: 'কোথায় যাচ্ছে মিড ডে মিলের এত টাকা?', কেন্দ্রীয় দল নিয়ে যা বললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
শনিবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সরকারি স্তরে রিভিউ মিটিং করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের কেন্দ্রে এলাকার উন্নয়নের বিভিন্ন কাজও খতিয়ে দেখেন অভিষেক। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা।
এদিন মুখ্যসচিবকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকেও। তাঁর কথায়, "রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে কেন শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবারে সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বৈঠক করা হল।" এরই পাশাপাশি ট্যুইটে তিনি জানান, বাকি ৪১ টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রশাসনের তরফ এই ধরনের বৈঠকের ব্যবস্থা করা না হলে জনস্বার্থ মামলা করবেন তিনি। বিরোধী দলনেতা তোপ দাগেন, "গণতন্ত্র নয়, রাজ্যে রাজতন্ত্র চলছে।" এবার সেই একই সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য কমিটির গলাতেও।