নবান্ন অভিযান নিয়ে ব্যস্ত বিজেপি। ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন চলো কর্মসূচিকে সফল করাই এই মূহুর্তে বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। নবান্ন অভিযান শেষ করে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পঞ্চায়েত নিয়ে জেলা জেলায় বৈঠক শুরু করবে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচন সাফল্যের সঙ্গেই করবে। তার জন্য বিজেপির নিজস্ব ব্লু প্রিন্ট আছে। তৃণমূলের ক্যালেন্ডার দেখে বিজেপি তার কর্মসূচি স্থির করবে না৷ "
advertisement
আরও পড়ুন - KL Rahul and Athiya Shetty: পাঁচ তারায় নয়! হবু শ্বশুর কোটি কোটি টাকার বাংলোতে হবে রাহুল ও আথিয়ার বিয়ে
তবে,- প্রকাশ্য যত আত্মবিশ্বাসী দেখাক না কেন, আসলে কিন্তু নেতা, কর্মীরা জানেন, পঞ্চায়েত নিয়ে কোন প্রস্তুতিই নেই দলের। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার জন্য, গত ২৬ শে জুন রাজ্যস্তরে কমিটি গড়ে জেলা, মন্ডল ( ব্লক) স্তর পর্যন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, তা কার্যকর হয়নি। সে কারণেই মঙ্গলবার বৈঠকে দায়িত্ব বন্টনের পরেই সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় জেলায় গিয়ে বৈঠক করে পর্যায়ক্রমে জেলা, মন্ডল ও বুথ কমিটি তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ব্লক স্তর পর্যন্ত এই কমিটি চূড়ান্ত করে, ২৫ শে নভেম্বরের মধ্যে ব্লক সম্মেলন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তারপর হবে বুথ ভিত্তিক পঞ্চায়েত কমিটি। সেই কমিটির মাধ্যমেই রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার আসনে প্রার্থী বাছাই, প্রচার, মনোনয়ন সহ ভোটের বাকি প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে মন্ডল ও জেলা কমিটি। এটাই আপাতত, বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট প্রস্তুতির রোড ম্যাপ।
মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারীতে ভোট হলে হাতে সময় থাকবে সাকুল্যে ২ মাসেরও কম। তার মধ্যে বড়দিন, নববর্ষের মত উৎসবের মরশুম রয়ছে।
মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য দফতরে বৈঠক করে দলের ৫ টি সাংগঠনিক জোনের দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যদেরও একাধীক সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৮ সাংসদ ও প্রায় ৭০ জন বিধায়ককেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে, তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচার ও অন্যান্য কাজে যুক্ত রাখা হবে।
বর্তমান কমিটির এক সদস্যের মতে, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য বুথ স্তর পর্যন্ত দ্রুত কমিটি করে সাফল্যের সঙ্গে ''ব্লক সম্মলন" সম্পূর্ন করা। এটা করা গেলে পায়ের তলায় লড়াই করার মত কিছুটা জমি পাওয়া যাবে।’’
ARUP DUTTA