২০২১ সালে মোট তিনটি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। ২২, ২৩ ও ৫০। মীনাদেবী পুরোহিত জিতেছেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডে, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন বিজয় ওঝা ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন সজল ঘোষ। ব্যাস, আর বিজেপির কোনও প্রার্থীই জিততে পারেননি। কিন্তু কয়েক মাস আগেও রাজনৈতিক চিত্রটা ছিল একেবারেই আলাদা। বিধানসভা ভোটের ফল অনুসারে বিজেপি এগিয়ে ছিল ১০টি ওয়ার্ডে। ২১, ২৪, ২৫,২৭, ৩১, ৪২, ৭০, ৭৪ ও ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিধানসভা নিরিখে পাওয়া ভোটের লিড ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। এ কথা ঠিক, বিধানসভা উপনির্বাচনে ৭০ ও ৭৪ নম্বর হাতছাড়া হয় বিজেপির, জেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও এমন ফল?
advertisement
আরও পড়ুন: বিরোধী পরিসরে জমি হারাচ্ছে BJP, 'উত্থান' বামেদের! বুঝিয়ে দিল কলকাতার ভোট
এর মধ্যেই আছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। সেখানে তো দারুণ ফল করেছিল বিজেপি। পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, সেই ভোটে ২২ ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তার আশেপাশেও যে ফল হবে না, তা বোধহয় বুঝে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু ছ'বছর আগের ফলও ধরে রাখা যাবে না?
আরও পড়ুন: বিজেপি ভোকাট্টা, সিপিএম নো পাত্তা! কলকাতা জয় করে কামাখ্যা চললেন মমতা...
এ বার পিছিয়ে যাওয়া যাক আরও কয়েক বছর। ২০১৫ সাল, তখনও রাজ্যে বিজেপি-র এমন বিপুল ক্ষমতা তৈরি হয়নি। এত ভোট, এত আসন, এত প্রচার, তখনও বিজেপির পক্ষে কিছুই ছিল না। সেই বাজারেও কলকাতা পুর এলাকায় সাতটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছিল বিজেপি। সেই তালিকায় রয়েছে ওয়ার্ড নম্বর ৭, ২২, ২৩, ৪২, ৭০, ৮৬, ৮৭। এই আসনগুলির মধ্যে বিজেপির দুই কাউন্সিলর যোগ দেন তৃণমূলে। তার পরেও যে পাঁচটি আসন থাকে তার মধ্যে দু'টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। বাকি তিনটি আসন হাতছাড়া হয়েছে!
এ যেন বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়ার ইঙ্গিত! ২০১০ সালে যে বিজেপি কার্যত শক্তিহীন ছিল, যে খানে কেন্দ্র. রাজ্য কোথাওই তেমন শক্তিধর ছিল না গেরুয়া শিবির, সেবারেও কলকাতা পুর নির্বাচনে তিনটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ঠিক এক দশক, মানে ১০ বছরের ব্যবধানে যেন সেই একই মেরুতে ফিরে এলে বিজেপি। এ বারেও প্রাপ্তি সেই ১০টি আসনই। মানে গ্রাফের হিসাবে বিজেপির সরণ শূন্য! ১০ বছরে ঠিক যেখানে ছিল বিজেপি, রইল সেখানেই।
