এর আগে অনুপম হাজরার বিস্ফোরক বক্তব্য করে বলেন, ‘নাড্ডা এবং অমিত শাহ জিকে আমি আবেদন জানাবো যাতে আমার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কারণ এখানে অনেক ঘর শত্রু বিভিষণ রযেছে। কারণ তারা কখনও চায় না, অমিত শাহ জির বেঁধে দেওয়া ৩৫ আসনের লক্ষ্য পূরণ হোক’। এ সব কিছুর সূত্রপাত বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্ককে ঘিরে। মঙ্গলবার তৃণমূলের ধর্না মঞ্চের কাছে হাজির হন বিজেপির অনুপম হাজরা। তারপর তৃণমূলের সুরেই সরব হন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম। তৃণমূলের মঞ্চে বিজেপির নেতা। এতে বিড়ম্বনায় পড়ে বঙ্গ বিজেপি। বেঁধে যায় তু তু ম্যায় ম্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন – জাল নথি দিয়ে লাখ-লাখ টাকা লেনদেন, ‘আনসারুল্লা বাংলা’-র কর্মকাণ্ড দেখলে চমকে যাবেন
বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি নাড্ডাজিকে বলুন কিম্বা অন্য কাউকে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ বিজেপির যে কর্মী যারা রয়েছেন, তাদের কাছে ওনার এধরনের বক্তব্যের কোনও গ্রহণ যোগ্যতা নেই। অনুপম হাজরা বলেছেন,’ আমার রিপোর্টিং বস হচ্ছে জেপি নাড্ডা। ওনার নির্দেশেই আমি জেলায় জেলায় ঘুরছি। প্রোটোকল অনুয়াযী আমি ওনাকে জানিয়েছি। এবং আগামী দিনে দেখতে পাবেন কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তর পাল্টা, ‘ সম্পাদক মানে সে রাজ্যে দাপাদাপি করে বেরাতে পারে না। আমিও কোনও জেলায় গেলে আমাকে কোনও জেলা সভাপতিকে বলে যেতে হয়।’ তৃণমূলে মঞ্চে অনুপম হাজরার যাওয়া নিয়ে এ ভাবেই বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে, বুধবার বিজেপির মঞ্চেই উঠতে পারেননি অনুপম। বীরভূমের খয়রাশোলে বিজয়া সম্মিলনী ঘিরে এ দিন তুলকালাম হয়।