তবে, ভোটের দিনও যেভাবে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা, এদিনও সেই অবস্থান থেকে সরেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, 'সংগঠনের জোরে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু সেই সংগঠন কী করে, তা আপনারা সবাই দেখেছেন ভোটের দিন। জায়গায়-জায়গায় রিগিং, নকল ভোটারদের এনে ভোট করানো সবই ছিল।' প্রিয়াঙ্কার অবশ্য সংযোজন, 'আমি ভবানীপুর ছেড়ে যাব না। ভবানীপুরের মানুষের পাশে থাকব।'
advertisement
সংবাদসংস্থা ANI-কে অবশ্য প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আমি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও আমি ২৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছি। আমি আমার কাজ তাই চালিয়ে যাব।'
এরপর ফেসবুকেও একটি পোস্ট করেন ভবানীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। সেখানে তিনি লেখেন, 'আমি আমার দলের নেতৃত্ব এবং কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাঁরা আমার থেকেও বেশি উদ্যোগী হয়েছিলেন এই ভোটকে ঘিরে। আমি অনুভব করছি, শাসক শিবিরের ক্রমাগত ভয় দেখানোর কারণেই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা যায়নি। আমি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার তাগিদে কাজ করে যাব। মানুষের পাশ থেকে আমি সরব না।'
আরও পড়ুন: 'কাজ সেরে ফেলেছি', ভবানীপুর-ভিকট্রি'র মাঝেই লকেটকে 'বার্তা' কুণালের!
ভবানীপুর উপনির্বাচনে রাজ্য বিজেপি শুধু সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপায়নি, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও প্রচারে এসেছিলেন। বলা যেতে পারে, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগ দিতে চেষ্টার কোনও ঘাটতি রাখেনি গেরুয়া শিবির। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, তৃণমূল নেত্রীর কাছে কার্যত ধুয়েমুছে গেছে বিজেপির যাবতীয় চেষ্টা। এমনকী ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের যে ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লিড পেয়েছিল বিজেপি, উপনির্বাচনে তাও ধরে রাখতে পারেনি তাঁরা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই প্রিয়াঙ্কার মুখে সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।