এবার থেকে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান নিয়মিত গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। গ্রাম বাংলার এমন অনেক প্রান্তিক এলাকা রয়েছে যেখানে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। সেই সমস্ত এলাকায় সংগঠনের বেহাল দশার কারণে বিজেপি কার্যত দাঁত ফোটাতে পারছে না। অগত্যা 'ভরসা' নরেন্দ্র মোদি। মূলত স্মার্ট ফোন, রেডিও নিয়ে এবার জেলায় জেলায় পৌঁছবেন পদ্ম নেতারা। লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তৃণমূল স্তরের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এবার থেকে বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান ঘরে বসে নয়, প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনা এবং শোনানোর ব্যবস্থা করতে হবে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এমনটাই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। খবর বিজেপি সূত্রের।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের আঁচে তাতছে ত্রিপুরা, সোমবার ফের আগরতলায় মোদি, সভা অভিষেকেরও
বিজেপি সূত্রের খবর, দিল্লির নির্দেশ এসে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ কার্যকর করতে জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। একদিকে যেমন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের ঘরে বসে নয়, প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের দিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলীয় নেতা- কর্মীদের সঙ্গেও একসাথে বসে শুনতে হবে সেই অনুষ্ঠান। এমনটাই নির্দেশ আকারে বার্তা এসছে দিল্লি থেকে বাংলার পদ্ম নেতাদের কাছে বলে খবর। গত লোকসভা ভোটে ছাপ ফেললেও বুথ স্তরে দলের সংগঠন এখনও দুর্বল। নিচু তলায় এবার দলের সংগঠন গোছাতে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির। প্রতি বুথে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শোনাতে উদ্যোগী হচ্ছে বিজেপি। দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদেরও তাতে যুক্ত করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর লোকসভা। এই দুই নির্বাচনে মোদিই যে বিজেপির প্রধান মুখ বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। রাজ্য নেতৃত্বের উপর পূর্ণ আস্থা না রেখে এবার নরেন্দ্র মোদির উপরই 'ভরসা' রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই বিজেপির এবার হাতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান, মত রাজনৈতিক মহলের।
এই অনুষ্ঠানকে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে শাসক দলের সংগঠনে থাবা বসাতে কোমর বাঁধছে গেরুয়া শিবির। রেডিও, স্মার্টফোন ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান কৌশল আগামী দিনে কতটা সংগঠন মজবুত করতে কাজে আসবে? তা নিয়ে অবশ্য দলের একাংশের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। যদিও রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'দলের নেতাদের প্রতি আস্থা- অনাস্থার বিষয় এটা নয়। ভোটের দিকে তাকিয়েও এই কর্মসূচি নয়। বাংলার সব মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর মনের কথা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য'।