TRENDING:

BJP: লক্ষ্য এবার বাংলা, জেলা ধরে ধরে সিনিয়র নেতা-মন্ত্রীদের দায়িত্ব দিল বিজেপি! রইল তালিকা

Last Updated:

২০২১-এর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিচুতলায় সাংগঠনিক ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া এবং বুথ স্তরে দলের শক্তি বৃদ্ধিই বিজেপি নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বিহার জয়ের পরই বাংলায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে এবার কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি৷ ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ভাল ফল করতে জেলা ধরে ধরে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ভিন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের৷ তাঁদের মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মন্ত্রীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলানো অভিজ্ঞ নেতারাও৷
বাংলা জয়ে মরিয়া বিজেপি৷
বাংলা জয়ে মরিয়া বিজেপি৷
advertisement

বিজেপি সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যকে সাংগঠনিক ভাবে ছটি ভাগে ভাগ করে এই নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ যে সমস্ত নেতারা অতীতে কঠিন নির্বাচনে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন, মূলত তাঁদের হাতেই এবার এলাকা ধরে ধরে ভোটের আগে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০২১-এর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিচুতলায় সাংগঠনিক ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া এবং বুথ স্তরে দলের শক্তি বৃদ্ধিই বিজেপি নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য৷

advertisement

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন এলাকার দায়িত্ব পেলেন কোন নেতারা-

রাঢ় বঙ্গ- বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের মতো রাঢ় বঙ্গের জেলাগুলিতে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে বিজেপি৷ এবার এই অঞ্চলে নিজেদের শক্তি কাজে লাগিয়ে ভোট বাক্সে তার ফায়দা পুরোপুরি তুলতে ছত্তীসগড়ের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা পবন সাইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাঁকে সাহায্য করবেন উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত৷

advertisement

হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর- সূত্রের খবর, এই তিন জেলার মূল দায়িত্বে থাকছেন দিল্লির বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পবন রানা৷ যদিও বিস্তীর্ণ এই এলাকাকে আরও ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে আলাদা করে হাওড়া এবং হুগলি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার অন্যতম সিনিয়র বিজেপি নেতা সঞ্জয় ভাটিয়াকে৷ আবার দুই মেদিনীপুর জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী জে পি এস রাঠৌরকে৷ যেহেতু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপি-র সম্মানের লড়াই, তাই এই অংশকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও৷

advertisement

কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা- এই অঞ্চলে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি প্রশ্নাতীত৷ দক্ষিণ কলকাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় আবার বিজেপির সংগঠন ততটাই দুর্বল৷ এই পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলে সংগঠনের হাল ধরতে হিমাচল প্রদেশের দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক এম সিদ্ধার্থনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ এর পাশাপাশি কর্ণাটকে বিজেপি-র তরুণ নেতা সি টি রবিকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷

advertisement

নবদ্বীপ এবং উত্তর চব্বিশ পরগণা- বিজেপি নেতাদের মতে, মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক সহ এই অংশে দলের প্রতি বিপুল সমর্থন থাকলেও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সেই সমর্থন ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হচ্ছে না৷ পরিস্থিত বদলাতে অন্ধ্রপ্রদেশের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা এন মধুকরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাঁকে সাহায্য করবেন উত্তর প্রদেশে দলের সিনিয়র নেতা সুরেশ রানা৷

উত্তরবঙ্গ- বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে গেলে বিজেপি-র অন্যতম ভরসা উত্তরবঙ্গ৷ তবে অতীতে ভাল ফল করলেও উত্তরবঙ্গে বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটিগুলিতেও থাবা বসাতে শুরু করে করেছে তৃণমূল৷ এই পরিস্থিতিতে অরুণাচল প্রদেশের নেতা অনন্ত নারায়ণ মিশ্রকে মালদহ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ শিলিগুড়ির দায়িত্ব সামলাবেন কর্ণাটকের সাংগঠনিক নেতা অরুণ বিন্নাড়ি৷

দার্জিলিং এবং পাহাড়- দার্জিলিং পার্বত্য এলাকার দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাস চৌধুরীকে কোচবিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চূর্ণী নদীতে কুমির আতঙ্ক, মাছ ধরার জন্য ছিপ ফেলতেই মিলল দর্শন!
আরও দেখুন

বিজেপি সূত্রের খবর, ২০২১ সালের নির্বাচনের অনেক আগে থাকতেই দুশো পার করার স্লোগান তোলার কৌশল পরে ব্যুমেরাং হয়েছিল৷ আরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল তৃণমূল৷ এবার তাই চুপচাপ নিজেদের কৌশল সাজিয়ে তা হাতেকলমে কার্যকর করতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব৷ যে নেতাদের যে যে এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হয় সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন নয়তো খুব শিগগিরই পৌঁছে যাবেন৷ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আপাতত ওই এলাকাতেই ঘাঁটি গেড়ে থেকে সংগঠনের হাল ধরবেন এই সিনিয়র নেতারা৷

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
BJP: লক্ষ্য এবার বাংলা, জেলা ধরে ধরে সিনিয়র নেতা-মন্ত্রীদের দায়িত্ব দিল বিজেপি! রইল তালিকা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল