এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এ বিষয়ে মামলা করার অনুমতি চাইলেন কলকাতার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী দেবলীনা সরকার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই বিষয়ে শুনানি প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে। এদিকে, তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করার আবেদন করল বিজেপি-ও। সেই আবেদনও মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি। দুটি আবেদনেরই একত্রে শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
advertisement
কলকাতা পুরসভা (KMC Election 2021) নির্বাচনে সন্ত্রাস থেকে ভোট লুঠের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা সকলেই। রবিবার, ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত কলকাতায় অশান্তি হলেও ভোট শান্তিপূর্ণ বলেই মত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রবিবার রাতে কমিশনের দফতরে গিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গোটা কলকাতাতেই পুনর্নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু কলকাতায় যে আর পুনর্নির্বাচন হবে না, সোমবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ কমিশনের মতে, দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কলকাতার ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। কলকাতা পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করা হয়েছে কমিশনের তরফে।
আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিমতো কলকাতায় কি পুনর্নির্বাচন? সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন
প্রসঙ্গত, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে ও পরে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই দাবিতে আবেদন করে বিজেপি। কিন্তু দুই বেঞ্চই বিজেপির আবেদন খারিজ করে দেয়। যদিও একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, কলকাতা পুরভোটে আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সুষ্ঠু ভোট পরিচালনা-প্রতিটি ক্ষেত্রেই দায়বদ্ধ থাকবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। এবার সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতে গেল বিজেপি ও সিপিআইএম।
আরও পড়ুন: কলকাতার যখন ভোট চলছে, নিজেদের শক্ত 'গড়ে' ভাঙন ধরল BJP-তে! তৃণমূলের দখলে...
এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ''কলকাতার কোনও বুথেই আর পুনর্নির্বাচন হবে না।'' কমিশন সূত্রে খবর, পুরসভা নির্বাচনের প্রত্যেক বুথের তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনকী সিসিটিভি বন্ধ, ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোট নিয়ে বিরোধীরা, বিশেষত বিজেপি ও সিপিআইএম-এর অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারই বলেছিলেন, ''উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। বিরোধীরা নাটক করছে। ওসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কলকাতা পুলিশ সেরা, এদিন সেটা তাঁরা আবার প্রমাণ করেছে।'' এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে কী হবে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।