আরও পড়ুন– HDFC ব্যাঙ্কে AI-এর কারণে কর্মী ছাঁটাই হবে না, বলছেন সিইও শশীধর জগদীশন
এই নতুন উদ্যোগের মূল লক্ষ্য, বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে আধুনিক বিপণন কৌশলের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন রূপে উপস্থাপন করা। বিশ্ব বাংলা মার্কেটিং করপোরেশনের এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন বাংলার কারিগরদের তৈরি নানা ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প প্রচার পাবে, অন্যদিকে ডিজিটাল দুনিয়ায় ব্র্যান্ডের উপস্থিতিও আরও শক্তিশালী হবে।
advertisement
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের জন্য পেশাদার ফটোগ্রাফার, ভিডিও প্রযোজক, সিনেম্যাটিক সম্পাদক ও পণ্য-ক্যাটালগ বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা হবে, যাতে প্রতিটি ভিডিও নান্দনিক ও বাণিজ্যিকভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগ ক্রেতাই অনলাইন কেনাকাটার আগে মোবাইলে পণ্য ব্রাউজ করেন। সেই কারণেই ছোট আকারের ভিডিও কনটেন্ট এখন গ্রাহক আকর্ষণের মূল চাবিকাঠি। এক আধিকারিকের কথায়, “বিশ্ববাংলা যেমন বাংলার কারিগরদের বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে, তেমনই এই নতুন উদ্যোগে তাঁদের পণ্যও পাবে আন্তর্জাতিক দৃশ্যমানতা।”
একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে বড়সড় প্রচার অভিযান শুরু করতে চলেছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজেদের উপস্থিতি আরও জোরদার করার লক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে। এর জন্য নতুন ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, গ্রাফিক্স ও প্রচারসামগ্রী তৈরি হচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত পণ্যের প্রচারে কোনও মডেল ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে খুচরো বিপণনের চলতি প্রবণতাকে মাথায় রেখে সংক্ষিপ্ত ভিডিওর মাধ্যমে গল্প বলার এই কৌশলই ভবিষ্যতের বাজারের দিকনির্দেশ করছে— এবং বাংলার হস্তশিল্পীদের জন্য এই পদক্ষেপ হতে পারে এক নতুন দিগন্তের সূচনা। বর্তমানে এয়ারপোর্ট-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আছে বিশ্ব বাংলা স্টোর। এই স্টোরকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।