HDFC ব্যাঙ্কে AI-এর কারণে কর্মী ছাঁটাই হবে না, বলছেন সিইও শশীধর জগদীশন
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
AI will not lead to layoffs at HDFC Bank: এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও শশীধর জগদীশন জোর দিয়ে বলেছেন যে, প্রযুক্তিটি কর্মীদের আরও গ্রাহকমুখী এবং প্রযুক্তি-চালিত ভূমিকায় পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
নিয়ে এসেছে তাকে মানুষই! কিন্তু, সৃষ্টি কখনও কখনও যে স্রষ্টাকেই সমস্যায় ফেলে দেয়, ইতিহাস তার বহুবার সাক্ষী দিয়েছে। আছে এ হেন ঘটনা সাহিত্যের পাতাতেও অমর হয়ে। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নামটাই যথেষ্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেনিজেন্স, সংক্ষেপে এআই নিয়েও এখন সেই তত্ত্বই রয়েছে আতসকাচের নীচে। মানুষ চেয়েছিল তাকে নিজের সুবিধার জন্য কাজে লাগাতে, কিন্তু এখন সে মানুষের জীবিকানির্বাহের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এআই-এর ব্যবহার কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্ম দিয়েছে। তবে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই গ্রহণ করলেও এর জন্য কোনও ছাঁটাই হবে না বলে দাবি করা হয়েছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও শশীধর জগদীশন জোর দিয়ে বলেছেন যে, প্রযুক্তিটি কর্মীদের আরও গ্রাহকমুখী এবং প্রযুক্তি-চালিত ভূমিকায় পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
advertisement
advertisement
শশীধর জগদীশন জানান যে, “আয় বৃদ্ধির জন্য অনেক রানওয়ে রয়েছে। আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য এবং আসন্ন উদীয়মান প্রযুক্তির সঙ্গে উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সামনের প্রান্তে প্রচুর লোক রাখতে চাই।” তিনি উল্লেখ করেছেন যে ব্যাঙ্কের এআই-এর বর্তমান ব্যবহার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবর্তে পুনর্গঠন এবং প্রক্রিয়া অপ্টিমাইজেশনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তিনি জানান যে, “এটি টার্নঅ্যারাউন্ড সময় কমাতে, প্রক্রিয়াগুলি সরল করতে এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতার একটি মোটামুটি ভিত্তি তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে, যা যথেষ্ট পরিমাণে কাজের সুযোগ মুক্ত করবে।”
advertisement
এখানেই শেষ নয়। তিনি জানান যে, ‘‘আমরা আরও বেশি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আরও বেশি লোককে সামনের দিকে আনতে পারি এবং এটাই মূল পরিকল্পনা।” জগদীশন আরও বলেন যে, AI নিয়ে কিছু পরীক্ষা সফল নাও হতে পারে, তবে ব্যাঙ্ক প্রাথমিকভাবে এই বিষয়ে আশাবাদী। তিনি জানান যে, “কিছু পরীক্ষা কাজ করবে এবং কিছু করবে না, তবে আমরা আশাবাদী যে এর ফল কার্যকর হবে। ১৮-২৪ মাসের মধ্যেই এর ফলাফল দেখা যেতে পারে।’’