রাজ্যে এই প্রথম বার ক্যামেরাবন্দি হল এই বিশেষ পাখি। অস্ট্রেলেশিয়ান গ্রাস আউল (ইস্টার্ন গ্রাস আউল) ক্যামেরাবন্দি হল বাংলায়। রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, ফরাক্কা ব্যারেজ লাগোয়া গঙ্গার একটি চরে রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনটি ঘাসপেঁচা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। এর জেরে অত্যন্ত খুশি বন দফতর।
advertisement
বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে ফরাক্কা গুরুত্বপূর্ণ পক্ষী বিচরণক্ষেত্র (ইম্পট্যান্ড বার্ড এরিয়া বা আইবিএ)-কে চার ভাগে ভাগ করে চলছিল কাজ। গত রবিবার (৯ মার্চ) বনবিভাগের একটি দলের সঙ্গে তিন পাখি সমীক্ষক, সন্দীপ দাস, স্বরূপ সরকার এবং সৈকত দাস পঞ্চানন্দপুর-ফরাক্কা জলপথে গঙ্গার মাঝে জেগে ওঠা একটি চরের ঘাসবনে তিনটি অস্ট্রেলিয়ান গ্রাস আউল দেখতে পান।
বাংলার পড়শি রাজ্য অসমের মানস জাতীয় উদ্যানে অস্ট্রেলেশিয়ান গ্রাস আউলের দর্শন মেলে। সেটি তাদের প্রজননক্ষেত্র। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াতেও এই প্রজাতির পেঁচা রয়েছে। বাংলায় শেষ বার এই পেঁচা দেখা গিয়েছিল শান্তিনিকেতনে।
সাদা পেটে রয়েছে সুক্ষ সুক্ষ বাদামি ফুটকি। মুখের সাদা গোল চাকতিকে ঘিরে পাটকিলে গলাবন্ধও এদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে। সাধারণত, এই প্রজাতির পেঁচা ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য প্রজাতির পেঁচা যেমন লোকালয়ে দেখা যায়, এই পেঁচার দেখা কিন্তু মেলে তৃণভূমিতে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হাইজ্যাক আস্ত একটা ট্রেন! জঙ্গিদের হাতে আটকে ৪০০ যাত্রীর প্রাণ, চরম আতঙ্ক
মালদায় এ পাখির খোঁজ মেলায় খুশি জেলার পক্ষীপ্রেমীরা। এই পাখিটিকে যেন সংরক্ষণের ব্যবস্থা দূরত্ব প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয় সেই আবেদনও জানানো হয়েছে তাঁদের তরফে।
১৯৮০ সালের পর ২০২৫ সালের ৯ মার্চ এই পাখির আবার দেখা মিলল মালদহ জেলার গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে। প্রতিবছর বন দফতর পরিযায়ী পাখির সমীক্ষা করে থাকে গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে। কাঁটাহাদিয়ারা থেকে ফারাক্কা ব্যারেজ পর্যন্ত গঙ্গা নদীর তীর ধরে এই সমীক্ষা করা হয়ে থাকে। দীর্ঘ ৪৫ বছর পরে সেখানেই দেখা মিলল এই বিশেষ প্রজাতির পাখির।