বায়োফুয়েল আসলে কী?
(জীবাশ্ম নয়) জৈব পদার্থ থেকে তৈরি (হয় এই) তেল
গাছের ফল বা বীজ, ফুল থেকে (পাওয়া যেতে পারে) তেল
শস্য বা কাঠ থেকেও (তৈরি হতে পারে) তেল
পশু বা মানুষের বর্জ্য থেকেও (তৈরি হয়) জৈব তেল
শ্যাওলা থেকেও তৈরি করা যায় তেল
যাত্রোফা, ক্যাস্টর, সূর্যমুখী, ভুট্টা থেকে আখ এমনকি ভ্যারেন্ডা। পরিবেশে উপস্থিত এমন নানা উপাদান থেকে তৈরি হতে পারে তেল। কখনও এই তেল থেকেই তৈরি হয় জ্বালানি। কখনও আবার পেট্রোল বা ডিজেলের সঙ্গে মেশানো হয় বায়োফুয়েল। ভারতে সারাবাছর ব্যবহৃত পেট্রোল বা ডিজেলের ৮২% বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যা দেশের সরকার এবং করদাতাদের কাছে বড় বোঝা। যত দ্রুত বায়োফুয়েল উৎপাদন বাড়ানো যাবে, তত দ্রুত কমবে আমদানিকৃত তেলের পরিমাণ। বাড়বে কর্মসংস্থানও।
advertisement
পেট্রোলের জায়গায় ইথানল, ডিজেলের সঙ্গে ৫% বায়োফুয়েল মিশিয়ে বায়োডিজেল। পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী---
ভারতে প্রতি মাসে ৮৫০কোটি লিটার ডিজেল ব্যবহৃত হয়
২০৩০ সালের মধ্যে ডিজেলে ৫% জৈব তেল মেশানোর উদ্যোগ
বাস্তবায়নে প্রয়োজন বছরে ৫০০কোটি লিটার বায়োফুয়েল
পুনর্ব্যবহারযোগ্য রান্নার তেল থেকে মিলতে পারে ১৪০কোটি লিটার (বায়োডিজেল)
পরিসংখ্যান বলছে---
দেশের বায়োফুয়েল ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান মূল্য ৬,০০০ কোটি টাকা
২০২২ সালে যা হবে ৫০,০০০ কোটি টাকা
পশ্চিমবঙ্গেও যে বায়োফুয়েল নিয়ে একেবারেই পরীক্ষা-নীরিক্ষা হয়নি, তা নয়। তবে এখনও কোনও কিছুই সেভাবে কার্যকর হয়নি। হাইড্রোজেন কার থেকে ই-কার। নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে অটোমোবাইল সংস্থাগুলি। তবে ভারতে সেই পরিকাঠামো পেতে এখনও সময় লাগবে। তার আগে পরিবেশ থেকে খরচ। সব বাঁচাতেই বায়োফুয়েলে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।