সংগঠনের নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আলি ইমরান রামজ জানিয়েছেন, "২০০২ সালে গুজরাত গণহত্যার সময়ে দাহোদর এক গ্রামে আক্রান্ত হয় বিলকিস বানোর পরিবার। ৩ মার্চ আক্রমণের সময় গাছ দিয়ে ঘেরা একটি মাঠের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন বিলকিসের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ২০-৩০ জন আততায়ী তাঁদের ঘিরে ধরে আক্রমণ করে। বানোর পরিবারে ১৪ জনকে খুন করা হয়। বিলকিসের ৩ বছরের শিশুকে কোল থেকে ছিনিয়ে মায়ের সামনেই পাথরে আছরে মেরে হত্যা করা হয়।'
advertisement
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে অধ্যক্ষ, জলপাইগুড়ির কলেজে মারাত্মক ঘটনার অভিযোগ পরিবারের
তাঁর দাবি, 'শুধু তাই নয়, বিলকিস-সহ ৮ জন মহিলাকে ধর্ষন করা হয়। ২০০৮ সালে ২১ জানুয়ারি সিবিআই বিশেষ আদালত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। মুম্বই হাইকোর্টও একই রায় দেন। সেই দোষীদের আদালতের রায় নয়, পঞ্চমহলের জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি করে তাদের মুক্তির সুপারিশ করে। তারপরেই এই দাগী আসামীদের মুক্তি দেওয়া হয়।'
আরও পড়ুন: ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ঠেসে দেওয়া হবে ট্যুইন টাওয়ারে, বহুতল গুঁড়িয়ে যাবে ১৫ সেকেন্ডে! অপেক্ষা শুরু
বিধায়ক আলি ইমরান রামজ জানিয়েছেন, 'আজাদ হিন্দ মঞ্চ মনে করে ঠান্ডা মাথায় নৃশংস অপরাধ করতে পারে যে সব দাগী অপরাধীরা, দলের লোক হলেই বিজেপি কীভাবে সমস্ত আইন ও নীতি-নৈতিকতাকে অগ্রাহ্য করে তাদের মদত দেয় ও রক্ষা করে। এই ঘটনা দেশের কাছে আরও একটি নির্লজ্জ উদাহরণ। সর্বোপরি, এই জঘন্য ঘটনা একটি বিপজ্জনক নজির তৈরি করল। সমস্ত স্তরের মানুষকে এই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।"
বিলকিস বানোর দোষীদের মুক্তি দেওয়ায় বিষয়টিকে সামনে রেখে বিজেপিকে ঘিরতে চাইছে বিরোধীরা। একই সঙ্গে গুজরাতের ঘটনাকে ফের সামনে নিয়ে এসে রাজনীতির ময়দানে শাসকদলকে কোণঠাসা করার কৌশল নেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে। এবার রাজ্য রাজনীতিতেও এই বিষয়টিকে সামনে আনতে চাইছে বামেরা। বিলকিসের দোষীদের মুক্তি বাতিল করে কারাদণ্ড বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে বামফ্রন্টের তরফে।