দেবযানীর মায়ের করা এই বিস্ফোরক অভিযোগে বলা হয়েছে, সিবিআই-এর কাছে দেবযানী যেন এমন দাবি করেন যে, তাঁর সামনেই শুভেন্দু ও সুজনকে ৬ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। দেবযানীর মায়ের অভিযোগ, গত ২৩ অগাস্ট জেলে গিয়ে সিআইডি দেবযানীকে চাপ দিয়ে এই কথা বলতে বলে। সিআইডি-র কথা মতো দেবযানী এমন কথা না বললে তাঁকে আরও বেশ কয়েকটি মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও দাবি করেছেন দেবযানীর মা। এ বিষয়ে সিবিআই-এর তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
advertisement
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘সারদা কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সুবিধাভোগেীদের খুঁজে বার করতে হবে। সারদার সব থেকে বড় সুবিধাভোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তথ্য গোপন করার জন্য এর আগে রাজীব কুমারকে ব্যবহার করেছে। সেটা নথিভুক্ত রয়েছে। এখন মামলাটিকে অন্যভাবে প্রভাবিত করার জন্য একজন বিচারাধীন বন্দিকে পুলিশ পাঠিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, এতো সাংঘাতিক বিপজ্জনক চোর’।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে বিকাশবাবু বলেন, ‘একজন বন্দির মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছে। এই অপরাধেই তো নৈতিক দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশমন্ত্রী। সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নির্দেশ না পেলে সিআইডি এই ধরণের দুষ্কর্ম করার সাহস পায় না’।
প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই-কে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি নিজে কোটি-কোটি টাকা দিয়েছেন। যা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। যদিও এ বিষয়ে শুভেন্দু পুরো বিষয়টিকেই রাজনৈতিক প্ল্যান বলে অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে, সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ''শূন্য সিপিএমকে এত ভয়? তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।'' এবার দেবযানীর মায়ের চিঠি সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিল।