৩১ অগাস্ট, ২০১৮, উদ্ধার হয় দেহ ৷ মৃতার গলায় ছিল নাইলনের ফাঁস। মাথায় আঘাতের চিহ্ন। তদন্তে নেমে প্রথমেই পুলিশের নজরে পড়ে চারটি মোবাইল নম্বর। মৃতার উরুতে মেহেন্দি দিয়ে লেখা হয়েছিল নম্বরগুলি ৷ সেই সূত্র ধরেই এক যুবকের সন্ধান পায় পুলিশ। জানা যায়,
-- ভিন ধর্মের ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তরুণী
advertisement
-- তাঁরা দুজনেই আদতে বিহারের মজফফরপুরের বাসিন্দা
-- (তবে) কর্মসূত্রে ওই যুবককে নাগপুরে থাকতে হয়
আরও পড়ুন,
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের জন্য মোদি সরকারের বড় উপহার, উপকৃত হবে ২৩ লক্ষ কর্মী
জামালপুর থানার একটি প্রতিনিধিদল নাগপুর থেকে ওই যুবককে নিয়ে কলকাতায় ফেরে। তাঁকে জেরা করে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মৃতার বাবা ও দাদাকে। কলকাতার বেনিয়াপুকুর থেকে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্ত মহম্মদ মুস্তাফা ও তাঁর ছেলে জাহিদ শেখকে। পুলিশের দাবি,
-- ২৯ অগাস্ট মেয়েকে বিহার থেকে কলকাতায় আনেন মুস্তাফা
-- ৩০ অগাস্ট বেড়াতে যাওয়ার নাম করে ওই তরুণীকে নিয়ে বেরোন তাঁর বাবা ও দাদা
-- গাড়িতে কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে রওনা দেন তাঁরা
-- গাড়ি চালাচ্ছিলেন জাহিদ, পাশে বসেছিলেন তাঁর বোন
-- মুস্তাফা বসেছিলেন পিছনের সিটে
-- মাঝরাস্তায় গাড়িতেই মেয়েকে খুন করেন মুস্তাফা
-- পিছন থেকে গলায় নাইলনের ফাঁস জড়িয়ে খুন করা হয় ওই তরুণীকে
-- এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় আঘাত করা হয়
আরও পড়ুন
দামী পেট্রোলে দামী উপহার! পেট্রোল পাম্পে কেনাকাটায় এবার উপহার মিলছে বাইক-এসি-মোবাইল
পরিবারের সম্মান রক্ষার্থেই কি এই খুন? মোটামুটি নিশ্চিত পুলিশ।