ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার অবাঙালি ভোট ভবানীপুরে অন্যতম ফ্যাক্টর। বিধানসভা নির্বাচনে যাওয়ার আগে ভবানীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। এই বিধানসভা এলাকার মধ্যে বহু ভাষাভাষী মানুষ বাস করে৷ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন রকম বৈশিষ্ট্য৷ ফলে নির্বাচন নিয়ে জোর চর্চা চলে এখানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে ভোট এবং এগিয়ে থাকার ব্যবধান বাড়িয়েছে তৃণমূল। ২০১৯ সালে বিজেপির থেকে তৃণমূল ভবানীপুরে এগিয়েছিল ৩,১৬৮ ভোটে। এ বার সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ৮,২৯৭ ভোট।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে ফের থমকে গেল হোয়াটসঅ্যাপ! বিভ্রাট ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকেও
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভবানীপুর বিধানসভা সেই বিধানসভা ক্ষেত্রের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটিতে- ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভালো ব্যবধান এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ৭৩, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রীর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ১২ হাজার ১৯১ ভোট। বিজেপি ৮৯৫৭ ও সিপিআইএম ২৩১০ ভোট পেয়েছে। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৬২৬৯টি ভোট, বিজেপি ৫৯৯০ ও সিপিআইএম ১২৩২টি ভোট। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ১৮১১৮টি ভোট, বিজেপি ২৭৭২টি, সিপিআইএমের ঝুলিতে গিয়েছে ৫৯৬০টি ভোট। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, ৭৭ নম্বরের কাউন্সিলর শামিমা রেহান খান। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি পেয়েছে ৫৭৯৮টি ভোট, তৃণমূল ৪৩৩০ ও সিপিআইএম ৬৯৯টি ভোট। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি পেয়েছে ৬৭১৫, তৃণমূল ৩১৩৮টি ভোট। ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি পেয়েছে ৭৫৫৩টি ভোট, তৃণমূল ৬৫৫১ ও সিপিআইএম ১৩৭৪টি ভোট পেয়েছে। ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি ৬৪৯৮ ও তৃণমূল ৪৬৪০টি ভোট পেয়েছে। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি পেয়েছে ৯৫৪৪টি ভোট, তৃণমূল ৭১৩২টি ও সিপিআইএম ১০৮৬টি ভোট।