কমিশনারেট সূত্রে খবর, প্রাতঃভ্রমনকারীরা যাতে নিশ্চিন্তে নিজেদের প্রাতঃভ্রমন সেরে বাড়ি ফিরতে পারেন, তা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- অনুব্রতর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন টুলু মণ্ডল! কে তিনি, কী ভাবেই বা জড়িয়ে, তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য
কমিশনারেটের বিভিন্ন পার্ক মাঠে যেখানে প্রাতঃভ্রমনকারীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়, সেই সকল স্থানগুলিতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে কমিশনারেটের তরফে।
advertisement
শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো এদিনও সেন্ট্রাল পার্কে ছিল প্রাতঃভ্রমনকারীদের ভিড়। দেখা মিলল পুলিশি টহলদারিও। রীতিমতো পাঁচ ছয়জনের পুলিশের একটি দল ঘুরছিল এলাকায়। নজর রাখছিল সন্দেহভাজন কারও গতিবিধির ওপর।
বিধাননগর কমিশনারেটের উদ্যোগে যথেষ্ট খুশিয়। আগের থেকে অনেক বেশি নিরাপদ মনে করছেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। প্রবীন নাগরিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, পুলিশের এই উদ্যোগ খুবই ভাল। নিশ্চিন্তে সকালের পরিবেশ উপভোগ করে সুস্থ থাকতে পারব।
সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমনে আসেন প্রৌঢ়া সুনিতা দেবী। পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি তিনি। নিরাপদে মর্নিংওয়াক করা যাবে এর থেকে আর কী ভাল হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
বিধান নগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানিয়েছেন, এটি পুলিশের রুটিন নজরদারি। তবে পুজোর আগে থেকে ছিনতাইবাজদের কারসাজি দেখা যায়। বিশেষ করে ভোরের বেলা তারা টার্গেট করেন প্রবীন নাগরিক ও মহিলাদের। তাই আগাম সতর্কতায় পুজোর আগে থেকেই এই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
উৎসব শেষ হয়েছে। শীত আসছে। এই সময়টাতেও ভোরের দিকে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে, যার সুযোগ নিয়ে অতীতে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রাক শীতে আগাম নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশের বলে দাবি ওই কর্তার।
আরও পড়ুন- মাইলস্টোন রাজ্যের, নলবাহিত জল পৌঁছে গিয়েছে ৫০ লক্ষ বাড়িতে, সময়ের আগেই লক্ষ্যপূর্ণ
পার্ক বা মাঠে নিরাপত্তা বাড়তেই খুশি প্রাতঃভ্রমণকারীরা। তবে তাঁদের দাবি, রাস্তাতেও যাতে নিরাপত্তা থাকে সেই দিকেও যাতে পুলিশ নজর রাখে। সেই দাবি উঠলেও পুলিশের তরফে টহলদারি ভ্যান সকালে বিভিন্ন রাস্তাতে থাকছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
সব মিলিয়ে নিশ্চিন্তে নিরাপদে প্রাতঃভ্রমনকারীরা যাতে নিরাপদে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন, তারই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে।
