মধ্যরাত। বাড়ির সামনে কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করছেন জনা কয়েক যুবক-যুবতী গাড়ি পার্কিং করে চলছে দেদার আড্ডা। মদ্যপানও হয় কখনও কখনও। প্রতিবাদ করে সুরাহা হয়নি। হঠাৎ বাড়ির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে অজ্ঞাত পরিচয় দু’জন ঘোরাঘুরি করছে। ফাঁকা এলাকায় তাদের সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে। বারান্দায় শুকোতে দেওয়া হয়েছে জামা কাপড়। বিকেলে দেখা গেল হঠাৎ দুটো জামা উধাও। এমনই সকল নানান ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি সল্টলেকের বিএফ ও সিএফ ব্লকে। খাস নিজের পাড়াতে পুলিশ অফিসারদের পেয়ে এমনই নানান অভিযোগের কথা জানালেন নাগরিকরা।
advertisement
আপনার পাড়ায় আপনার থানা। বিধাননগর কমিশনারেটের উদ্যোগে নেওয়া এই বিশেষ পরিষেবায় প্রতিটি এলাকার নাগরিকদের অভিযোগ শুনতে পৌঁছে যাচ্ছেন খোদ পুলিশ কর্তারা। থাকছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার ইন্সপেক্টর, সাব ইনিসপেক্টর থেকে ডিসি। কথা বলছেন নাগরিকদের সঙ্গে। শুনছেন অভিযোগ। আলোচনায় উঠে আসছে সমাধানের পথও। বিএফ ব্লকের নাগরিকদের একাংশকে নিয়ে বৈঠক করলেন বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। যেখানে ট্রাফিক সমস্যা, পার্কিং সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উঠেছে ছোটখাটো চুরির ঘটনার প্রসঙ্গও ।
আরও পড়ুন-‘বাচ্চা ছেলে যেন, সব মনে করিয়ে দিতে হবে’, প্রিন্সেপ ঘাট রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তোপ মমতার
পুলিশের তরফে দাবি, ছোট ছোট সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নজরদারি থাকে পুলিশের তরফে। বেআইনি কিছু পার্কিং নিয়ে অভিযোগ এসেছে। আলোচনা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নিয়েও। পুলিশের ক্যামেরার বাইরেও নাগরিকদের অনেকেই বলেছেন নিজেদের সুরক্ষায় অনেকেই বাড়িতে সিসিটিভি বসিয়েছেন। তবে পার্কিং নিয়ে অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষনাৎ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে পুলিশ।কমিশনারেটের এমন উদ্যোগে খুশি নাগরিকরাও। তাদের দাবি, এমন উদ্যোগকে স্বাগত, তারা চাইছেন যাতে এমন পরিষেবা বন্ধ না হয়। পুলিশের দাবি, নাগরিকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও বন্ধুত্ব পূর্ণ করা যেমন লক্ষ্য তেমন এলাকার বিভিন্ন হালহকিকত নজরে রাখতেই এমন উদ্যোগ তাদের পক্ষ থেকে।