মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অভিযানে ডালহৌসি চত্বরের একটি নামী হোটেলের কাছে ম্যানহোলের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন। তদন্তকারীরা আশাবাদী, ভবানীপুর জোড়া খুন কাণ্ডে অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান দিতে পারে এই মোবাইল ফোন। পুলিশ শাহ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে , অশোক শাহ তাঁর ব্যাবসা সংক্রান্ত কথা খুব বেশি জানাতেন না পরিবারকে৷ তাই সেই ফোনের কল ডেটা রেকর্ডার দেখে কাদের কাদের ফোন করা হয়েছিল বা কাদের ফোন এসেছিল তার সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে জোড়া খুনে জড়িত পরিচিতই, এগিয়েছে তদন্ত, ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি মমতার
মঙ্গলবারের পর বুধবারও ভবানীপুর থানায় লালবাজারের একাধিক শীর্ষ কর্তাদের দেখা যায়। আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারদের সঙ্গে অশোক শাহের মেয়ের কথা হয় বুধবার। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছু দিন ধরে চিন্তিত ছিলেন অশোক শাহ। মূলত ছোট মেয়ের বিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন: স্ত্রীর শরীর কুপিয়ে ফালাফালা, স্বামী ঝুলছে গাছের সঙ্গে! বাঁকুড়ায় হাড়হিম কাণ্ড
সেই সূত্র ধরে তদন্তকারীদের প্রশ্ন, মেয়ের বিয়ের টাকা জোগাড় করতেই কি ফ্ল্যাট বিক্রি করতে চাইছিলেন অশোক শাহ? নাকি সেই টাকা দিয়ে অন্য কিছু করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর? যদিও ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম বাবদ পাওয়া এক লক্ষ টাকার চেকে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর আছে, তার সূত্র ধরে ফ্ল্যাটের ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও তদন্তকারীদের অনুমান, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে দুই বা তার অধিক ব্যক্তি থাকার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি।
পুলিশ সূত্র খবর, আততায়ীরা নিখুঁত পরিকল্পনা করেই সময় বেছে নিয়েছিল কারণ সোমবার দুপুরে ওই এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য এলাকা ফাঁকা ছিল ও স্থানীয় বেশির ভাগ বাসিন্দা মৃতের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন৷ ঠিক সেই সময়টি কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা খুন করে পালাতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
