সুর বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। সেই মতো বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন ভবানীপুরের ভোটারদের বুথমুখী করার আবেদন জানিয়ে ট্যুইট করেন তৃণমূল নেতারা। এর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগও ঠোকে বিজেপি। গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছিল ৫৩.৩২ শতাংশ ৷ ভোটগ্রহণ চলেছিল সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৷ তাই চূড়ান্ত হিসেবে জানা বাকি ছিল ৷ শেষপর্যন্ত আজ, শুক্রবার সকালেই জানা গিয়েছে সেই হিসেব ৷ ভবানীপুরে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৫৭.০৯ শতাংশ (সন্ধ্যা ৬.৩০ টা পর্যন্ত ভোট দানের হার) ৷ (Bhabanipur Bypoll Final Vote Percentage)
advertisement
৬০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়তে পারে, তা গতকালই আন্দাজ করা হয়েছিল ৷ বাস্তবেও ঠিক তেমনটাই ঘটল ৷ অন্যদিকে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে চূড়ান্ত ভোটদানের হার যথাক্রমে ৭৯.৯২ শতাংশ এবং ৭৭.৬৩ শতাংশ ৷
আরও পড়ুন- অবিকল যেন বুমরাহ ! ভারতীয় পেসারের বোলিং অ্যাকশন নকল করা এই বোলারকে দেখে নিন
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভবানীপুরে ভোটদানের হার কম ছিল। বেলা যত বেড়েছে, ভোটদানও বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ভবানীপুরে কম ভোটই পড়ে সকালে। পরে ভোট বাড়ে ৷’
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তৃণমূলের টার্গেট ভবানীপুরে বেশি ভোটদান ৷ কারণ তৃণমূল মনে করে, বেশি ভোট মানেই মমতার রেকর্ড ব্যবধানে জয় ৷ বিজেপি কিন্তু বলছে উল্টো কথা। তাদের চোখে, ভবানীপুরে বেশি ভোট মানে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান কমা। এর স্বপক্ষে বিজেপি তথ্য তুলে ধরেছে ৷
২০১১-র উপনির্বাচনে ভোটের হার ছিল মাত্র ৪৪.৭৩%
তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান সেবার ৫৪ হাজার ২১৩
২০২১-এর ভোটের হার ৬১.৭৯%
ভোটের হার বাড়ল। জয়ের ব্যবধান কমল
ব্যবধান কমে ২৮ হাজার ৭১৯
২০১১ এবং ২০২১-এর তুলনায় ২০১৬-য় ভোটের হার বেশি, ৬৬.৮৩%
জয়ের ব্যবধান তিনবারের মধ্যে ষোলোয় সবচেয়ে কম। ২৫ হাজার ৩০১
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই অঙ্ককে সামনে রেখেই বিজেপি চেয়েছে, ভবানীপুরে বেশি করে ভোট পড়ুক। তা হলে ব্যবধান কমার সম্ভাবনা। আর তৃণমূলের যদি জয়ের ব্যবধান কমে তা হলে সেটাকেই তারা প্রচারে অস্ত্র করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছিল ৫৩.৩২ শতাংশ। একে উপনির্বাচন। সঙ্গে দোসর বৃষ্টি। সকাল থেকে ভবানীপুরে ভোট দানের হার ছিল অত্যন্ত কম। বেলা বাড়তেই ভোটের হার অবশ্য খানিকটা বাড়ে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সামশেরগঞ্জে ভোট পড়ে ৭৮.৬০ শতাংশ এবং জঙ্গিপুরে ৭৬.১২ শতাংশ। শেষপর্যন্ত ভোট দানের চূড়ান্ত হিসেব জানা গেল আজ, শুক্রবার ৷
রিপোর্টার- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
