দিন দুই আগেই ভবানীপুর কেন্দ্রের যদুবাবুর বাজার এলাকায় ঢোল বাজিয়ে সনাতনী নামকীর্তন দিয়ে প্রচার করার সময় প্রিয়াঙ্কার সামনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এবং জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। তাতে ক্ষুব্ধও হন বিজেপি প্রার্থী। এরপর সেই একই ঘটনা বারবার ঘটছে ভবানীপুর এলাকায়। এরই মধ্যে কোভিড বিধিভঙ্গ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলে বসেন, 'ওই রকম চিঠি ১০০ পাই, ১৫০ পড়ি, ২০০ ছিঁড়ি'। প্রিয়াঙ্কার সেই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল (TMC) নিশানা করছে এই মন্তব্যকেই। তাঁদের অভিযোগ , এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে কমিশনকে দেখে।
advertisement
বিজেপি সূত্রের খবর, কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের। এমনকী তাঁর প্রচারে ভিড় বাড়ানোর জন্য কলকাতা পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। (Priyanka Tibrewal on Kolkata Police)। সেই বিষয়টি দল ঠিকভাবে নেয়নি। দলের অন্দরের খবর, সেই কারণেই আরও একটু মেপেঝুঁকে প্রচার করতে বলা হয়েছে। এমনকী এদিন প্রচার করার পূর্বনির্ধারিত সূচি থাকলেও তাতে যোগ দেননি প্রিয়াঙ্কা। যদিও সংবাদমাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা দাবি করেছেন, 'আমি মানুষের পাশে আছি। মানুষের কাছে যাচ্ছিও। সংবাদমাধ্যম হয়ত জানতে পারছে না।'
আরও পড়ুন: বড়শিতে ধরা পড়ল 'দৈত্য'! স্থলে তুলতে লাগল ৩ ঘণ্টা, জল থেকে যা উঠে এল...
প্রসঙ্গত, গত সোমবার আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের উপরে অবৈধ জমায়েত করেছিলেন করে অভিযোগ ওঠে৷ সেখানে অন্তত পাঁচশো মানুষের জমায়েত হয়েছিল বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। এমনকী নির্বাচন কমিশনের বিধিভঙ্গ করেই প্রচুর সংখ্যায় বাইক, গাড়ির সমাগমও হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেখানে রাস্তার মধ্যেই ধুনুচি নাচেরও আয়োজন করা হয়েছিল৷ তাতে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও কর্মীরা। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতেই কমিশনের চিঠি পান প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেই চিঠি নিয়ে তাঁর মন্তব্য নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলে দলকে। সেই সূত্রেই এদিন প্রিয়াঙ্কার প্রচারের 'গোপন' কর্মসূচি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে, প্রিয়াঙ্কা যেখানে গোপন কর্মসূচির কথা বলছেন, ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপির প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনীল ঘোষ অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলে প্রচারের 'বিঘ্ন' ঘটনার দাবি করেছেন।