সামান্য কিছু ডকুমেন্ট দিয়েই সবাই পেয়ে যাচ্ছিলেন লোন। আর সেই ফাঁদে পড়ে সারা ভারতবর্ষে কয়েক কোটি মানুষ এখনও প্রতারিত হচ্ছেন। কী সেই চাইনিজ লোন অ্যাপ?
instant loan থেকে আরম্ভ করে নানা ধরণের লোনের অ্যাপ সোশ্যাল মাধ্যমে রয়েছে। সেখানে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পেয়েছেন অনেকেই। সব থেকে মজার, ওইসব অ্যাপে ছবি, আধার কার্ড ছাড়া কয়েকটি নথি আপলোড করলেই ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাচ্ছিল টাকা।
advertisement
লোন নেওয়ার সাত দিন পর থেকেই শুরু হত টাকা ফেরতের চাপ। এই রকম চাইনিজ লোন অ্যাপ থেকে দক্ষিণ কলকাতার এক মহিলা লোন পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। সাতদিন পরে তাকে দ্বিগুণ টাকা ফেরতের জন্য ফোনে চাপ দিতে থাকে ওই লোন অ্যাপের লোকজন।
ওই মহিলার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি চেয়ে বসে তারা। সব থেকে মজার ব্যাপার, এইভাবে ব্ল্যাকমেলিং-এর সঙ্গে সঙ্গে মহিলার আত্মীয়-স্বজনদের মোবাইলে মহিলার কুরুচিপূর্ণ ছবি পাঠানো হয়। তার পরই মহিলা থানার দ্বারস্থ হন।
এইসব কোম্পানি গুলির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এদেশে। কিন্তু এদের নির্দিষ্ট কোনও অফিস নেই। রয়েছে কয়েকটি কল সেন্টার। মূলত সমস্ত কিছু চলে চীন থেকে।
১৯ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে পাঁচটি চাইনিজ অ্যাপের কলসেন্টারে হানা দিয়ে মোট ৯৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। ওই লোন অ্যপে ক্লিক করে বিশদ তথ্য দিলেই যিনি লোন নিচ্ছেন তাঁর অজান্তেই, মোবাইলের সমস্ত কিছুই ওই চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্ট পর্যন্ত ফাঁকা হয়ে যায়।
সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছে, ওই সমস্ত অ্যাপের চক্রে পা না দেওয়ার জন্য। তবে বেশ কিছু ভারতীয় এজেন্টকে নিয়োগ করে এখনো চাইনিজ অ্যাপ গুলো চলছে। আর এদের থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা চলে যাচ্ছে চীনে।