নিজে একজন কট্টর বিজেপি সমর্থক। জোড়াসাঁকো এলাকায় বাবা-মা দুই সন্তান স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর পরিবার উত্তমের। সময় পেলেই দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ট্যাক্সিচালক উত্তমের কথায়,' প্রতিদিন যেভাবে রাজনৈতিক হিংসা, তৃণমূলের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তা থেকে মুক্তি দিতেই আমি মানুষের সেবা করতে চাই। আর সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অমিত শাহ সহ অন্যান্য রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যেই দরবার করেছেন উত্তম। প্রত্যেকের ইমেল আইডি তে তাঁকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী করার আবেদন জানানোর পাশাপাশি স্পিড পোষ্টের মাধ্যমেও সেই আবেদনের কপি পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে, বর্তমান শাসকদলের অনেক নেতাদের মত শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ দেখা নয়, মানুষের পাশে থেকে বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ার। যে সোনার বাংলা গড়ার কথা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অমিত শাহ কিংবা অন্যান্য রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে বারবারই শোনা যাচ্ছে। এবার সেই শপথের কথা উত্তমের মুখে।
advertisement
এক সাক্ষাৎকারে পেশায় ট্যাক্সিচালক উত্তম বলেন, 'ভালবাসার শহর কলকাতা তথা গোটা রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যেই আমাকে বিধায়ক পদপ্রার্থী করার আবেদন করেছি। তবে আমি জানিনা শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্ব আমার এই আবেদন মঞ্জুর করবে কিনা। দল প্রার্থী করুক বা না করুক। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি মানুষের সেবায় ব্রতী থাকব। একজন চাওয়ালা হয়ে যদি মোদিজী গোটা দেশের উন্নয়নের নেতৃত্ব দিতে পারেন তাহলে আমি কেন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বাংলার উন্নয়নের নেতৃত্ব দিতে পারব না? প্রশ্ন এই শহরের ট্যাক্সিচালক উত্তম মালির।
কৈশরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন মোদি৷ পরে কাজ করেছেন গুজরাট রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির ক্যান্টিনবয় হিসাবেও৷ নির্বাচনের আগে তাঁর এই অতীত টেনে এনে কংগ্রেস শিবির থেকে অপপ্রচার চালানো শুরু করলেও নরেন্দ্র মোদীর জন্য তা শাপে বর হয়েছে৷ তাঁর প্রার্থীপদকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়নপত্রে সই করেন এক চাওয়ালা, যা তাঁকে শ্রমজীবী ভোটারদের নজর কাড়তে সাহায্য করে৷ তবে নরেন্দ্র মোদি যা পেরেছেন তা কি পারবেন কলকাতা শহরের ট্যাক্সিচালক উত্তম মালি? ইচ্ছেপূরণ কী হবে তাঁর ? উত্তর দেবে সময়ই।