ভবানীপুর এলাকার হিন্দিভাষী মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ মজবুত করতে বিশেষ বৈঠক হয়। দলের সিনিয়র নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশিষ কুমার ও দায়িত্ব প্রাপ্ত ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা হাজির ছিলেন। প্রায় ৭০ মিনিটের বক্তৃতা ও আলাপচারিতায় অভিষেক সকলের নজর কেড়েছেন। হিন্দিভাষী মানুষের সংখ্যা বেশি থাকায় হিন্দিতেই বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। অভিষেকের আবেদন, "উপনির্বাচনে ভোট অনেক কম পড়ে। আপনারা সবাই ভোট দিন। মনে রাখবেন এই ভোট বিজেপি বনাম আপনাদের মধ্যে।"
advertisement
আরও পড়ুন- 'সবে তো শুরু'! ভবানীপুরে প্রচারে এসে কীসের ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক?
কথা প্রসঙ্গে ক্রমাগত পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। যাঁরা হাজির ছিলেন তাদের অনেকেই পেশায় ব্যবসায়ী। ফলে নোটবন্দি থেকে শুরু করে নানা ধরণের অর্থনৈতিক অসুবিধার কথা ফের মনে করিয়ে দেন অভিষেক। তিনি এটাও জানান, প্রতিটি ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে দাঁড়িয়েছেন সকলের। এদিন বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অভিষেক কী বলেন সকলের নজর ছিল সেদিকেই। আর এই আলাপে অভিষেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, "বি ফর ভবানীপুর। বি ফর ভারত। যদি ভবানীপুর জেতে। জানবেন ভারত জেতা হল।"
আত্মবিশ্বাসী অভিষেক হুঙ্কার ছেড়ে রাখলেন, "যেখানে যাব সেখানেই জিততে যাব।" আর বড় জয়ের লক্ষ্যে আগামী কয়েক মাস সময় চেয়েছেন অভিষেক। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, "কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও আপনারা যেভাবে কাজ করেছেন তা অসাধারণ। ভাষণ দেওয়ার লোক অনেক আছে। এটা হবে, সেটা হবে। ১৫ লাখ দেব, চাকরি দেব। অনেক শুনেছি। আমি কিন্তু এখানে এসেছি আপনাদের থেকে শুনতে। ৩০ তারিখ ভবানীপুরের ভোট কোনও সাধারণ ভোট নয়৷ আসলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকেই গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। গুজরাট, ইউপি, হরিয়ানা, অসম, তামিলনাড়ু সহ সব জায়গা থেকে লোক আসছে আমাদের কাছে। তারা বলছে দিল্লিতে একমাত্র পরিবর্তন যদি কেউ আনতে পারে তাহলে সেটা মমতা বন্দোপাধ্যায়। আপনাদের আশীর্বাদ, ভালোবাসা, সহমত ছাড়া এই লড়াই জেতা সম্ভব নয়। ২০২৪ এর লড়াই বিজেপি বনাম তৃণমূল নয়। লড়াই বিজেপি বনাম দেশের মানুষ। পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস দাম বাড়ছে। জিডিপির হাল খারাপ। করোনার জন্যে গোটা বিশ্বেই সমস্যা হয়েছে। লকডাউন হয়েছে। তাহলে খামোখা এখানেই কেন এর প্রভাব।সবাইকে বলেছিল ১৫ লাখ দেবে। কিন্তু কেউ ১৫ পয়সা পায়নি। এদিকে সব বেচে দিচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে জীবন বিমা। পরিবর্তন করতে গিয়ে সব বেচে দিচ্ছে।"
এর আগেও হিন্দিভাষী মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ সেরেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভবানীপুরকে বলা হয় মিনি ইন্ডিয়া। সেখানে প্রচারে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। তবে আসল লক্ষ্য হল ২০২৪- এর ভোট। অভিষেকের বক্তব্যে সেটাই প্রতিফলিত হল মনে করছে রাজনৈতিক মহল।