প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে 'নেশন উইথ নমো'র ক্ষেত্রে। যদিও সেই নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক। ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সেই চুক্তি বলবৎ থাকবে। বিভিন্ন প্রজেক্ট টিমের অ্যাসোশিয়েট, সিনিয়র অ্যাসোশিয়েট এবং ম্যানেজার পদে নিয়োগ করা হবে। ক্যাম্পেইন স্ট্রাটেজি, টিম কো-অর্ডিনেশন, সমন্বয় সাধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করবে এই বিশেষ টিম।
advertisement
একেবারে বুথ স্তর থেকে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে নিয়োগ করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এ ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত কর্মীদের বাংলা জানা আবশ্যক। ইতিমধ্যেই লিঙ্কড-ইন-এ এই সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আবেদনও করেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতের খরচ আরও বাড়ল বাংলায়, দেড় গুন বাড়ল মাশুল
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে বিজেপিই সেই দল যারা ফেসবুক তথা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। ‘সামাজিক ইস্যু, নির্বাচন এবং রাজনীতি’ এই বিষয়গুলিকে নিয়েই মূলত প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছিল, ফেসবুকে শীর্ষ বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে চার জন বিজ্ঞাপনদাতা রয়েছেন যাঁরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে তিনজনই দিল্লিতে ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় সদর দফতরের সঙ্গে একই ঠিকানা ভাগ করে নিয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন ‘মাই ফার্স্ট ভোট ফর মোদি’ (১.৩৯ কোটি) এবং ‘ভারত কে মন কি বাত’ (২.২৪ কোটি) এই পেজ দুটি চালিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা যাক, নেশন উইথ নমো যে মিডিয়া ওয়েবসাইট (১.২৮ কোটি) এবং পেজ (০.৬৫ কোটি) থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, তার পুরোধা বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ আর কে সিং।
আরও পড়ুন: বিরাট বড় খবর! উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জরুরি নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
তবে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় ‘মাই ফার্স্ট ভোট ফর মোদি’, ‘ভারত কে মন কি বাত’, ‘নেশন উইথ নমো’ এই তিনটি ফেসবুক পেজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সম্পর্কিত বিষয়বস্তু প্রচার করলেও তাঁরা কেউই তাঁদের বিজেপি যোগ সম্পর্কে সরাসরি কিছু উল্লেখ করেনি।
---সৌরজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়