আগেই শোনা গিয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিন থেকে বিজেপির মুরলীধর সেন লেনের দফতরে বসে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ সারবেন সমস্যা শুনবেন এবং সমাধানের পথ বাতলে দেবেন রাজ্য সভাপতি। তবে দলীয় কর্মসূচি এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক থাকার কারণে দিন বদল করে বুধবার অর্থাৎ আজ থেকেই মুরলীধর সেন লেনের দরবারে কর্মীদের সমস্যার সমাধানে শমিক ভট্টাচার্য।
advertisement
আরও পড়ুন: জবা গাছে ফুল ফোটা বন্ধ…? লাল লাল রক্ত জবা, ঝুমকো জবাতে ভরবে গাছ, শিখুন ‘বেস্ট’ ট্রিক!
কর্মীদের কথা সরাসরি শোনার জন্য শমীক ভট্টাচার্য সপ্তাহে এক দিন করে পুরনো সদর দফতরে বসবেন বলে খবর ছিল আগেই। পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কার্যকর্তা বন্ধুদের দরবার’। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শমীক এই কর্মসূচি শুরু করবেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর ছিল এবং প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে পুরনো রাজ্য দফতরে বসবেন বলে বিভিন্ন পোস্টে লেখা হয়েছিল। কিন্তু দলের নতুন রাজ্য কমিটি এখনও গঠিত হয়নি। পুরনো দফতরের মেরামতিও শেষ হয়নি। তাই সেপ্টেম্বরের শুরুতেই শমীক এই ‘কর্মী দরবার’ শুরু করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
১৫ খাবার…! কুরে কুরে শরীরে বাড়ায় ‘ক্যানসারের’ ঝুঁকি, রোজ রোজ খাচ্ছেন নাকি? চমকে দেবে ‘গবেষণা’
তবে বিজেপি সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে শমীকের কর্মসূচির কথা। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য আগামী ৩ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ আজ বুধবার দুপুর ২টোয় রাজ্য বিজেপির প্রধান কার্যালয় ৬, মুরলীধর সেন লেনে উপস্থিত থাকবেন।’
বিজেপির পুরনো সদর দফতরটিতে এখন বড়সড় মেরামতি চলছে। বাড়িটিকে প্রায় ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেই কাজ শেষ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তার পরেই শমীক ভট্টাচার্য আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘কর্মী দরবার’ শুরু করবেন বলে বিজেপি সূত্রের প্রথমে জানা গিয়েছিল। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সে কর্মসূচি আর ঝুলিয়ে রাখতে চাইছেন না। তাই পুরনো রাজ্য দফতরে সিমেন্ট-বালি-সহ নানা নির্মাণ সামগ্রীর রাজত্বের মাঝেই জায়গা তৈরি করা হয়েছে। একসঙ্গে অনেকের সঙ্গে বসে কথা বলার ব্যবস্থা বা একান্ত বৈঠক, দু’রকম বন্দোবস্তই রাজ্য সভাপতির জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে মুরলীধর সেন লেনে।
রাজ্যের যে কোনও প্রান্তের যে কোনও বিজেপিকর্মীর অভাব-অভিযোগ বা পরামর্শের কথা সরাসরি শুনতে সভাপতির এ এহেন কর্মসূচি এর আগে বঙ্গ বিজেপিতে দেখা যায়নি। শমিক ভট্টাচার্য যে চিরাচরিত গতে বাধা নেতার জীবনকে ছাড়তে চাইছেন রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে তার জীবনযাত্রায় সে বার্তা স্পষ্ট। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেননি তিনি। তবে ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে বারংবার তাঁর কাছে আবেদন এলেও নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সুতরাং রাজ্য সভাপতির কাছে সকল নেতৃত্ব কর্মী পৌঁছে তাঁদের সমস্যা জানাতে পারেন এবং তার সমাধান পেতে পারেন। এবার তাই মূলত তাঁর এই কর্মসূচির মাধ্যমেই শমিক ভট্টাচার্য বার্তা দিতে চাইছেন রাজনৈতিক মহলের কাছে।