সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ইডি এবং সিবিআই এখন রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের খুঁজে বের করছে। আপনারা দেখেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কী অবস্থা। কিন্তু তৃণমূলের বড় বড় রাঘব বোয়ালরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত ভাবছেন যে তাঁর দলের সবাই পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু আমি তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, আপনার দলের নেতাদের ঘরেও খুব শীঘ্রই ইডি এবং সিবিআই ঢুকবে।”
advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, “আপনারা দেখেছেন কীভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হুমকি দিচ্ছেন। তিনি মনে করছেন যে তাঁর ক্ষমতা এতটাই বেশি যে তাঁকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু সময় আসছে, যখন তাঁকেও সব দুর্নীতির হিসেব দিতে হবে।”
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই সমস্ত দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এবং তদন্তের গতি ধীর করার চেষ্টা করছে। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, রাজ্যের সমস্ত দুর্নীতির আসল মাথাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
আরও পড়ুন: ভারতের ‘৫০ টাকা’ নেপালে গেলে ‘কত’ হবে জানেন…? শুনলেই চমকে উঠবেন!
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাঙালিরা বাংলা চালাতে প্রস্তুত। আপনার বিদায়ের সময় এসে গিয়েছে। বাঙালিদের যতটা ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি আর কেউ করেনি। যদি সত্যিই বাঙালিদের নিয়ে এত চিন্তা থাকত, তাহলে ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে আসতেন না।” তবে রাজনৈতিক ভাবে সফল কতখানি হয় বিজেপি তার উত্তর মিলবে আগামী নির্বাচনের পর।