মূলত আদিবাসী গ্রাম ও মহল্লাতেই এই কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। যেহেতু এনডিএ সমর্থিত রাষ্ট্রপতি পদপার্থী দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী-জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত, তাই বিজেপির তরফে বিজয় উৎসব পালনের ক্ষেত্রে মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম-মহলাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বিজয় উৎসব পালনের জন্য। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি নিয়ে পালিত হবে বিজয় উৎসব।
advertisement
আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চে বড় চমকের বার্তা, দলবদল-নতুন যোগদান নিয়ে তুমুল জল্পনা বাংলাজুড়ে
প্রসঙ্গত, শর্তসাপেক্ষে একুশে জুলাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা করার অনুমতি আদালত দিলেও সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু অধিকারী নিজেই জানিয়ে দিলেন, একুশে জুলাই সভা বাতিল করা হল। সভা বাতিল করার নেপথ্যে অনেকগুলি কারণ তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন। যেমন, যে মাঠে আদালত অনুমতি দিয়েছিল অর্থাৎ বাউড়িয়া মনসাতলা মাঠ সভার উপযোগী নয় বলেই দাবি শুভেন্দুর। পাশাপাশি রাত আটটায় সভা হলে মানুষ আসবেন কীভাবে? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, তিনি হাওড়ার বাইরের জেলার বাসিন্দা। ফলে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ২১ জুলাই তাঁর বাউড়িয়ায় আসার পরিস্থিতিই থাকবে না। সে কারণেই সভা বাতিল করলাম।
আরও পড়ুন: পরদিন ভোরে এসেছিল দুঃসংবাদটা, ৯৩-এর ২১ জুলাই এখনও চোখে ভাসে 'শহিদের' স্ত্রীর
তবে বিজেপি ২১ জুলাই রাজ্যজুড়ে দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি নিয়ে বিজয় উৎসব পালন করবে'। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত আদিবাসী জনজাতি এলাকার যাঁরা জনপ্রতিনিধি দলের তরফে বুধবারই তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার একুশে জুলাইয়ের দিন বিজয় উৎসব পালন করার। কারণ এদিনই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। বিজেপি শিবির আত্মবিশ্বাসী যে তাদের দলের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। তাই শুভেন্দু অধিকারীর সভা বাতিল হলেও রাজ্যের সর্বত্র দ্রৌপদী মূর্মুর ছবি নিয়ে বিজয় উৎসব পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে মূলত আদিবাসী- জনজাতি গোষ্ঠীর মন পেতেই গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রার্থী করা হয় দ্রৌপদী মুর্মুকে। বাংলাতেও আদিবাসী আবেগকে হাতিয়ার করে গত নির্বাচনের মতো এবারও পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে আদিবাসী ভোট অটুট রাখতেই দ্রৌপদী মুর্মু ইসুকেই কৌশল হিসেবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অনেক আগেই শাসক দলের একুশে জুলাই ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশের দিনই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজয় উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিল। আর বিজেপির এই কর্মসূচিকে খোঁচা দিয়ে শাসক দল তৃণমূল বলছে,' একুশে জুলাই বাংলার আবেগের দিন। আর এই দিনে বিজেপির বিজয় উৎসব পালন স্রেফ প্রচারের আলোয় থাকতেই'।