শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড় অংশ এসেছেন উত্তরপ্রদেশ বিহার থেকে। এটা উল্লেখ না করে পারা যাচ্ছে না, যে তথাকথিত বহু ঢক্কানিনাদে শোনা, বহু আড়ম্বরের শব্দ ডবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য বা ব্যর্থতার খতিয়ান আসলে কত, তার হিসাব আন্দাজ করতে পারেন?”
advertisement
যদিও ব্রাত্যর ‘ডবল ইঞ্জিন সরকারের’ খোঁচার পাল্টা জবাব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি আবার স্মরণ করিয়ে দেন গুজরাতের FDI অর্থাৎ নির্দিষ্ট রাজ্যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের হিসাব। বাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে যুযুধান বিরোধী পক্ষ বিজেপি। এমনকি বাংলায় এসে এবিষয়ে সুর চড়িয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: নেপালে ভারতের ১০০ টাকার ‘মূল্য’ কত জানেন…? গ্যারান্টি, শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তরে’!
ব্রাত্য এদিন এও বলেন, “বাংলা বরাবরই বাইরের রাজ্যের লোকেদের আপন করে নিয়েছে ওরা অধম হলে আমরা উত্তম হইব না কেন?” যদিও শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরাও ভিনরাজ্যে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, সেই সংখ্যাটা কত? একটা সময়ে পশ্চিমবঙ্গ মানুষকে রোজগার দিত, মানুষ নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ দিত। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পরে আমাদের বাণিজ্যে কনট্রিবিউশন ছিল ২৭ শতাংশ। আমাদের রাজ্যের FDI এখন .৬ শতাংশ। আর বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না বলে যাঁরা বলেন, তাঁরা মনে রাখবেন গুজরাতের FDI হচ্ছে ৩৯.৬ শতাংশ। আর আমাদেরকে .৬ শতাংশ। এটাই তো চিত্র।”
অন্যদিকে ব্রাত্য বসুর বক্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগে ব্রাত্য বসুকে হিসাব নিতে বলুন এ রাজ্য থেকে কত পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে রয়েছে। ব্রাত্য বসুর ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থী নিয়ে চিন্তা না করে চিন্তা করা উচিত এ রাজ্যে কেন সরকারি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনার্সে ভর্তির সিট ফাঁকা চাকরি কিংবা পড়াশোনা উভয় ক্ষেত্রে কেন অনীহা এসেছে যুব সমাজের?
