মিছিল নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চললেও শুক্রবারই শর্তসাপেক্ষে বিজেপির মিছিলে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। এদিকে পুজোর কার্নিভালের কথা উল্লেখ করে মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। জল গড়ায় আদালতে। শেষ পর্যন্ত সেখানেই শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মেলে। বলা হয়েছে রুট বদলের কথা হয়। কলেজ স্কোয়ার থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের পরিবর্তে কলেজ স্কোয়ার থেকে অন্য রুটে মিছিল করতে হবে। ৫ নয়, ৩ হাজার সমর্থক নিয়ে মিছিল করা যাবে। একইসঙ্গে স্টেজ কত বড় হবে তা ঠিক করে দেবে পুলিশ। এমনই নির্দেশ দেয় আদালত।
advertisement
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করে বলন, “দেখবি আর জ্বলবি লুচির মতো ফুলবি। কার্নিভাল বিশ্বায়নের উৎসব। পুজোর বিশ্বায়ন হচ্ছে এই কার্নিভাল। গত বছরও কী সব করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতে কী এসে গিয়েছে। এত বড় কর্মযজ্ঞের মাঝে কোথায় কে হাঁটল, কী হল বিরোধীদের ওগুলোর কোনও প্রভাবই নেই।”
শনিবার ছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর বিসর্জনের দিন। সজল ঘোষ এই শোভাযাত্রাকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ নাম দেন। মহিলাদের শঙ্খ বাজিয়ে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন: সাপের ‘স্বর্গ’…! বাড়ির এই ‘ছয়’ কোণ বিষধরের জন্যে নিরাপদ ‘আশ্রয়’, চমকে উঠবেন জানলেই!
শোভাযাত্রায় ঢাকের বাদ্য, আলোর ঝলক আর দর্শকদের উচ্ছ্বাসে জমে ওঠে পরিবেশ। কোথাও বিজেপির পতাকা ছিল না, কিন্তু আবহ ছিল পুরো রাজনৈতিক। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই র্যালি শুধু বিসর্জন নয়, বাংলায় পরিবর্তনের প্রার্থনা। তৃণমূলের স্বৈরাচারী রাজত্ব শেষ হওয়া দরকার।” তিনি দাবি করেন, “প্রশাসন বাধা দিয়েও থামাতে পারেনি। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এই পুজোয় এসেছিলেন। এই সাফল্য হিন্দু বাঙালির জয়।”