কলকাতা: গুরুত্ব বাড়ছে মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি দফতরের। সূত্রের খবর আগামী দিনে শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির আদি দফতর থেকেই সাংগঠনিক কার্যকলাপ সারবেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন, মুরলীধর সেন লেনের বিজেপির দফতর বঙ্গ পদ্ম শিবিরের পয়া অফিস। ১৯-এর লোকসভার ওয়ার রুম তৈরি হয়েছিল এই মুরলিধর সেন লেনেই। তারপর অবশ্য তল্পিতল্পা গুছিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব ঘাঁটি গেড়েছে সল্টলেক দফতরে। কিন্তু তাতে ফল যে বিশেষ ভাল হয়নি, তা ভোটের ফলাফলে প্রমাণ।
advertisement
২৬-এর মহারণের আগে তাই নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে সেই আদি বিজেপি দফতর। শুধু দফতর নয়, আদি বিজেপি কর্মীদের গুরুত্বও যে বাড়বে পার্টিতে সে কথাও স্পষ্ট করেছেন রাজ্য সভাপতি। জানা যাচ্ছে আগামী জুলাই-এর মধ্যেই নতুন করে সকল কমিটি মোর্চা সাজাবেন নয়া সভাপতি। সেখানে ঘটতে পারে আমুল পরিবর্তন। জায়গা ফিরে পেতে পারেন পুরনো কর্মীরা। সাসপেনশন তুলে ফের দায়িত্ব পেতে পারেন রীতেশ তিওয়ারি, সক্রিয় করা হতে পারে সায়ন্তন বসুর মত কর্মীদের।
রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার পর থেকেই ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে মুরলীধর সেন লেনের দফতরে। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরেই রোজ নিয়ম করে শমীক ভট্টাচার্য বসছেন মুরলীধর সেন লেন এর দফতরেই, এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনও করছেন । সূত্রের খবর এই নির্দেশ এসেছে খোদ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের তরফে। এমনকি বদল হয়েছে পার্টি অফিসের ফ্লেক্সেও। নেতার চেয়ে দল বড় – এই মতাদর্শে ভর করে দলীয় কাজ এগোবে। সেই কারণেই পার্টি অফিসের সাংবাদিক সম্মেলনের জায়গায় শুধু দলীয় প্রতীকের পতাকা লাগানো হয়েছে শমীকের নির্দেশেই।
বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বিজেপি কর্মী হিসেবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন ওই দফতর থেকেই। তাই আবেগ, ভৌগলিক অবস্থান এবং সাংগঠনিক শক্তি মজবুতের গুঁটি সাজানোর কাজ চালাবেন উত্তর কলকাতার মুরলিধর সেন লেনের বিজেপি দফতর থেকে।
ইতিমধ্যেই মুরলীধরে বাড়ছে জেলা ও আদি কর্মীদের আনাগোনা। পুরনো সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কর্মী আবেগের পালে হাওয়া টানতেই এই পন্থা বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এর প্রভাব আগামী নির্বাচনে ফেলে ভোট ব্যাঙ্ক ভরাতে সক্ষম হয় কিনা বঙ্গ বিজেপি, সেটাই দেখার।
