একুশের ভোটে গেরুয়া শিবিরের বঙ্গজয়ের স্বপ্ন হাতছাড়া। একুশের সেপ্টেম্বরেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন সুকান্ত মজুমদার। একুশের সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর। গত এক বছরে একের পর এক নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পুরভোটে থেকে উপনির্বাচন, সব ভোটেই ভরাডুবি। কলকাতা পুরভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপির প্রাপ্তি মাত্র তিনটি ওয়ার্ড। চন্দননগর ও বিধাননগর পুরভোটে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন- ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কালীপুজোয় এবার বড় বিপর্যয়? সতর্কতা জারি নবান্নের
বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে আসানসোল, শিলিগুড়ি পুরসভাও। রাজ্যজুড়ে হওয়া পুরভোটে একটি পুরসভাও দখল করতে পারেনি বিজেপি । বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনেও পদ্মের হাল বেহাল। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃতীয় স্থানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনেও বিপর্যস্ত বিজেপি ৷ আসানসোল ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। এই নির্বাচনী ভরাডুবিকে সামনে রেখেই দলীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুললেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
সৌমিত্র খাঁর কথায়, ‘‘ক্লাব কমিটি বছরে একবার হয়। বাংলায় বিজেপির কমিটি বছরে চারবার হয়। কোথাও নেতৃত্বের ভুল হচ্ছে, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে আমি দেখিয়ে দিয়েছি। তাতেও কার্যত নির্বিকার থেকেছে দল। ফলস্বরূপ যা হওবার তাই হয়েছে।’’ একের পর এক ভোটে বিপর্যয় হয়েছে। নিত্যনতুন দাওয়াই দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সাংগঠনিক স্তরে রদবদলও হয়েছে। কিন্তু, পদ্মের হাল-বদল বদলের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সেই পদ্মেরই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্ব দিয়ে যে দলের বাংলায় স্বপ্নপূরণ কার্যত অধরাই থেকে যাবে তাও নিজের বক্তব্যে ইঙ্গিত দিলেন সৌমিত্র।