একুশে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া থমকে যায় পশ্চিমবঙ্গে এসে। বিধানসভা ভোটে ফের তৃণমূল একাই পায় দুশো আসন। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফল বেরিয়েছিল একুশের ২ মে। সেই দোসরা মে’র দু’বছর। একুশের বিপুল জয়ের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, এবার তাঁর টার্গেট চব্বিশ।
আরও পড়ুন: দণ্ডি-কাণ্ডের মহিলাদের সঙ্গে অভিষেকের কথা! ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা’ বলছে বিজেপি
advertisement
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সবাই একজোট হোন, বিজেপি হারবে।’’ ইতিমধ্যেই বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহ লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ টি আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গেছেন। সেই টার্গেটকে সামনে রেখে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবিরও।
একুশের ভোটে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছে তৃণমূল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলার পদ্মশিবির। দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে তাদের হাতিয়ার, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ। ভোট-পরবর্তী অশান্তি। তাদের অভিযোগ, একুশের ভোটের পরে তাদের বহু কর্মী-সমর্থককে খুন করা হয়েছে। ২ মে তাই তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মঙ্গলবার ধর্মতলায় শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করে বঙ্গ বিজেপি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা নেত্রী।
প্রতিবাদ সভা শেষে ধর্মতলা থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত মিছিল করে গিয়ে গঙ্গার ঘাটে শহিদদের উদ্দেশ্যে করা হয় তর্পণও। এ নিয়ে তৃণমূলের খোঁচা, ২ মে, এই দিনটায় প্রমাণ হয়েছিল, কুৎসা চক্রান্তের পরেও বাংলা মানুষ অশুভ শক্তিকে হারিয়ে দেয়। এখন তা নিয়ে শোকসভা করছে বিজেপি। আর বিজেপি বলছে, ‘‘অত্যাচারী তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি হিসেবে আমরা প্রতিবছর ২ মে দিনটি পালন করব।’’
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী