বিজেপি শিবির মনে করছে, উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহল এখনও বিজেপির সঙ্গেই আছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে সদ্য বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন স্তরে যে সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হয়েছে তাতে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে সুনীল বনসলকে। অন্যদিকে এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের পূর্ণ সময়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গল পান্ডের পাশাপাশি বিশেষ করে আদিবাসী ভোট সুরক্ষিত রাখতেই আদিবাসী নেত্রী আশা লাকড়াকে অমিত মালব্যর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও নিযুক্ত করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কত দিন চালাবে দেখা যাক!' দিলীপ ঘোষের গলায় শুভেন্দুর সুর, তোলপাড় বাংলা
বিজেপি সূত্রের খবর, একদিকে মহিলা ভোট আর অন্যদিকে আদিবাসীদের মন ধরে রাখতেই আশা লকড়ার উপরই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে এরাজ্যে আর মুখ দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। নির্বাচনের ১৫ মাস বাদে বাংলার পর্যবেক্ষক পদে বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে আনা হয় সুনীল বনশলকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছেন মঙ্গল পান্ডেকে। পান্ডে বিহার বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন মঙ্গল পান্ডে। এরই পাশাপাশি রাঁচির দুবারের মেয়র ও আদিবাসী নেত্রী আশা লাকড়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে। তিনি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বড় আশঙ্কা, ফের নিম্নচাপ, বৃষ্টি! বিপুল বদল আসছে বাংলার আবহাওয়ায়
একইসঙ্গে অমিত মালব্যকে রেখে দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে। রাঁচির মেয়রের পাশাপাশি আশা লকড়া দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদেও রয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মুখ হিসেবে পরিচিত আশা লাকড়াকে মূলত বাংলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতেই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ, রবিবারই প্রথম বঙ্গ সফরে এলেন আশা লাকড়া।