প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরভোটের পরপরই সদ্য নতুন করে গঠিত হয়েছে বঙ্গ বিজেপি-র রাজ্য কমিটি। আর সেই কমিটিতেই মতুয়াদের যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব না থাকার অভিযোগ তুলে বিজেপি বিধায়কদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ 'লেফট' করেছেন বিধায়ক অসীম সরকার, অম্বিকা রায়, সুব্রত ঠাকুর, মুকুটমণি অধিকারী এবং অশোক কীর্তনিয়া। বড়দিনে যখন আনন্দে মেতেছে বাঙালি, তখন বিজেপি বিধায়কদের গ্রুপ ত্যাগ করা নিয়ে আলোড়ন পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আরও পাঁচটি গেল মনে হচ্ছে', BJP-কে বিঁধে বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়! গেরুয়া শিবিরে ঝড়
দলের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ 'লেফট' করে যাওয়া বিধায়করা এখনও নিজেদের ক্ষোভের কারণ প্রকাশ্যে জানাননি বটে, তবে তাতে বিজেপি-র অন্দরে ঝড় থামছে না। বিধানসভায় বিজেপি-র পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এ বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন। বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার কথা স্বীকার করেও অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ-ত্যাগী বিধায়কদের মধ্যে অশোক কীর্তনীয়া ও সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, ভুল বোঝাবুঝিতেই এমন হয়েছে। বিধায়করাও ভুল বুঝতে পেরেছেন। সেই সূত্রেই এবার এক বিধায়কের ভুল স্বীকার বলে মনে করছে বঙ্গ বিজেপি-র একাংশ।
আরও পড়ুন: বড়দিনের সকালে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে মারাত্মক ঘটনা, দাউদাউ আগুন তরুণীর চুলে!
প্রসঙ্গত, ২০১৯ ও ২০২১-এর নির্বাচনে মতুয়া ভোট বিজেপির মান রেখেছে। মতুয়া ভোটের উপর ভর করেই বনগাঁ উত্তর, দক্ষিন-সহ প্রায় ৭ টি কেন্দ্রে জিততে পেরেছে গেরুয়া শিবির। তার পরেও, রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব না থাকাটা দূর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির একটা বড় অংশই। সূত্রের খবর, দিল্লিতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তবে, তাতে যে বিজেপি-র অন্দরে ক্ষোভের আগুন কমছে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট।