আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ধরেও নেওয়া যায় যে, তাঁর হয়ে তাঁর কোনও পরিচিত ব্যাক্তি রাকেশ সিংয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রবিবার রাতে এই পোস্টটি করেছেন তাহলে পোস্টটিতে ইংরেজি বাংলা ও হিন্দিতে লেখা দীর্ঘ যে বার্তা দেওয়া হয়েছে সেখানে 'আমি' বলে উল্লেখ থাকাতেই উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর আর্জিতে সাড়া দেবে সুপ্রিম কোর্ট? নন্দীগ্রাম মামলায় তাকিয়ে সব পক্ষ
advertisement
মাদক কাণ্ডে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশ পূর্ব বর্ধমান থেকে রাকেশকে গ্রেফতার করে। হাইকোর্ট থেকে জামিন মিললেও বর্তমানে তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। আর সেই সংশোধনাগারে বন্দি অবস্থাতেই রবিবার রাতে রাকেশ সিংয়ের নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নজরে আসে তাঁর পোস্টটি। জেলবন্দি অবস্থাতেই এর আগেও রাকেশ সিংয়ের একাধিক ফেসবুক পোস্ট নজরে এসেছে।
হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার প্রসঙ্গ হোক কিংবা অন্য কোনও বিষয়। সাম্প্রতিককালে রাকেশ সিংয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে এমনই বিভিন্ন পোস্টের তথ্য সামনে আসছে। তাঁর কোনও কোনও পোস্টে রাকেশ সিংয়ের হয়ে (on behalf of ) অন্য ব্যক্তির নামের উল্লেখ থাকলেও রবিবারের পোস্টে সে রকম কোনও উল্লেখ নেই।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার ফলে উজ্জীবিত, নতুন সেনাপতিকে দায়িত্বে এনে মাস্টারস্ট্রোক দেবেন মমতা?
তাই জেলবন্দি অবস্থাতে থেকে তিনিই কি এই ফেসবুক পোস্টটি করেছেন? যদি করে থাকেন তাহলে প্রশ্ন উঠছে যে, নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একজন জেলবন্দির হাতে কীভাবে জেল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে পৌঁছে গেল মোবাইল? রাকেশ সিংয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে কমেন্ট সেকশনে জনৈক একজন তো প্রশ্নই করে বসলেন, 'জেলে মোবাইল ব্যবহার করা যায়? এই নজিরবিহীন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিউজ 18 বাংলা যোগাযোগ করে আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে।
তিনি জানান, আদালত জামিন দিলেও যতক্ষণ না পর্যন্ত সংশোধনাগাারের ভেতর থেকে কোনও অভিযুক্তের মুক্তি মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই জেল হেফাজতে থাকা অভিযুক্তের হাতে মোবাইল পৌঁছনো বেআইনি। এক্ষেত্রে যদি এমন কিছু হয়ে থাকে জেল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির দায় এড়াতে পারে না'। বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে 'বিতর্কিত' ফেসবুক পোস্টটিতে এও লেখা হয়েছে, 'এই দুঃসময়ে আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষীদের, পার্টির সহকর্মী ভাই-বোনদের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ আমি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেছি। এবার তার কথায় আসি যিনি এই কঠিন পরিস্থিতিতে এবং আমার অবর্তমানে আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের পিতৃতূল্য খেয়াল রেখেছেন, তিনি হলেন পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রভারী এবং আমার শিক্ষক শ্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয়'জি। ওঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন শব্দে করা সম্ভব নয়। ওঁর কাছে আমি চিরজীবনের জন্য ঋণী হয়ে রইলাম।সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে দূর দূরান্তে থাকা সবাই যারা আমায় ভালোবাসেন, আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন আপনাদের সবাইকে পুনরায় প্রণাম ও ভালোবাসা জানালাম। নেতা নয় আপনাদের বেটা।
দেখা হচ্ছে। বিশেষ অনুরোধ রইল সবার কাছে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সির বাইরে বেশি ভিড় না করাই উচিত কাজ হবে। আপনাদের পরিবারের স্বাস্থ্য সবার আগে"।