একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, সাংসদ, বিধায়ক কেউই চিরস্থায়ী নন। সাংগঠনিক নেতারা অনেকেই সক্রিয় নন। কোন্দল-কাঁটা উপরাতে, বার্তা দেন মিঠুনও। বিজেপি সূত্রের খবর,' শুক্রবার সাংগঠনিক বৈঠকে মিঠুন বলেন,'একে অপরের দিকে আঙুল তোলা বন্ধ করুন। অন্যের ঘরের দিকে না তাকিয়ে আগে নিজেদের ঘর সামলান। দলে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। কুৎসা না করে নিজেদের নেতাকে সম্মান করুন। নেতাকে সম্মান না করতে পারলে দল ছেড়ে দিন'।
advertisement
আরও পড়ুন - 'বাংলার রাজনীতিবিদদের এইভাবে কালিমালিপ্ত হতে আগে কেউ দেখেনি'- তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বললেন সুকান্ত মজুমদারের
সূত্রের খবর, দলের সংগঠন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সুকান্ত বলেন, পদে থাকলে কাজ করতে হবে।ঘরে বসে থাকা যাবে না।যাঁরা পারবেন না, তাঁরা জেলা সভাপতিকে জানিয়ে দেবেন।মণ্ডল সভাপতিরা কেমন কাজ করছেন সেই হিসেব রাখা হচ্ছে। পদ আঁকড়ে ধরে শুধু ঘুরে বেড়ালে চলবে না, সংগঠনে নজর দিতে হবে'। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে টিকিট বিলি ঘিরে তীব্র সংঘাত বেঁধেছিল পদ্মের ঘরে। পঞ্চায়েতের আগে সুকান্তর আগাম বার্তা, 'কে টিকিট পেলেন আর কে পেলেন না, এ নিয়ে ঝামেলা করলে হবে না।যাঁরা বিজেপি ছেড়ে যাবেন না তাঁদেরই প্রার্থী করুন।বুথ কর্মীদের নাম পাঠাতে বলুন।সেখান থেকে প্রার্থী বাছাই করুন'।
আরও পড়ুন - Mamata and Suvendu: বিধানসভায় মমতার ঘরে শুভেন্দু, কী বলছে বঙ্গ পদ্ম শিবির
পাশাপাশি জেলার সাংগঠনিক নেতৃত্বদের চাঙ্গা করতে এদিন সুকান্তর দাওয়াই, 'ভয় পাবেন না।দল আপনার পাশে আছে।মার খেয়ে জেলে যাবেন না। মেরে যাবেন'। নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। রাজনীতিতে সবাইকে এক হয়েই চলতে হয়। যে কোনও দলেই সাময়িকভাবে মনোমালিন্য হয়েই থাকে। তা থেকে বেরিয়ে আসাই সব রাজনৈতিক দলের কাছে চ্যালেঞ্জ'। সুকান্তর দাবি,' আমাদের দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। আমাদের দল নেতা ভিত্তিক দল নয়, নীতিভিত্তিক দল'।
VENKATESWAR LAHIRI