কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা সাফ জানান,’ দল এবারও যদি বহিরাগত প্রার্থী দেয় তবে আমি পার্টিতে থেকে সেই ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে নমিনেশন ফাইল করব।’ ঠান্ডা পাহাড় রাজনীতিতে গরম। কার্শিয়াংঙের বিজেপি বিধায়কের হুংকার, ‘এবারের লোকসভা ভোটে দার্জিলিঙে বহিরাগত কাউকে প্রার্থী করা চলবে না। করলে দলের বিরুদ্ধেই তিনি ভোটে লড়বেন।’
advertisement
আর এতে রীতিমত বিড়ম্বনায় বঙ্গ পদ্ম শিবির। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার দাবি,’দলকে আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি যে, যদি পার্টি দার্জিলিং জেলা থেকে কোনও প্রার্থী করে তাহলে আমি ওই ক্যান্ডিডেটের কাজ করতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু এবারও যদি বহিরাগত দেয় তবে আমি পার্টিতে থেকে সেই ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে নমিনেশন ফাইল করব।’
আরও পড়ুন: কেন সুজিতের বাড়িতে ইডি, রয়েছে ‘বড়’ কারণ! তাপসের অফিসেও মহিলা অফিসারের তল্লাশি
দলের বিধায়কের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন,’ এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আর উনি যদি প্রার্থী হন তাহলে দেখব উনি কত ভোট পান।’ এক কথায় দলের বিধায়কের বক্তব্য যে বিজেপি রাজ্য কমিটি অনুমোদন করে না বৃহস্পতিবার তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এ ব্যাপারে বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘আমাকে প্রার্থী করুন বলিনি তো। যে কোনও একজন পাহাড়ের মানুষকে প্রার্থী করুন আমি জেতাব। আমি তার জন্য ফাইট করব। কিন্ত বারবার যখন আপনারা বাইরের দিচ্ছেন, এবারও যদি দেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে নমিনেশন দেবো বলে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: চিপস, কাবাব খাচ্ছেন? মসলা পুড়িয়ে কিংবা আলু ভেজে বাদামি করে ফেলেন? ক্যানসার ডাকছেন না তো?
পাহাড়ের এই বহিরাগত উত্তাপের মধ্যেই অমিত শাহের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। রাজু বিস্তা দার্জিলিঙের ভূমিপুত্র নন। তিনি মনিপুরের। শেষবার ২০০৪ সালে দার্জিলিঙের ভূমিপুত্র হিসেবে লোকসভায় যান কংগ্রেসের দাওয়া নারবুলা। ২০০৯ সাল থেকে দার্জিলিং লোকসভা আসনটি বিজেপির দখলে।২০০৯ সালে সাংসদ হন যশবন্ত সিং। ২০১৪ সালে এস এস আলুওয়ালিয়া, ২০১৯ -এ রাজু বিস্তা। তিনজনের কেউই পাহাড়ের ভূমিপুত্র নন। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার কথায় এঁরা বহিরাগত। এবার চব্বিশের লোকসভা ভোটে কী হবে? এ নিয়েই এখন হাওয়া গরম। বিদ্রোহী বিজেপিরই বিধায়ক। পাল্টা তাঁকে চ্যালেঞ্জ ও কড়া বার্তা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এই প্রেক্ষাপটে লোকসভা ভোটের আগে খোদ বিজেপি বিধায়কের হুংকারে যে কিছুটা হলেও ‘বেসামাল’ বঙ্গ বিজেপি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দলের বিধায়কের বক্তব্যে রাজ্য বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল আরও প্রকট হলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী।